আমেরিকার সংস্থা মর্নিং কনসাল্ট নামে একটি সংস্থা রাষ্ট্রনেতাদের গ্রহণযোগ্যতার সমীক্ষা করে থাকে। সেই সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে শীর্ষে রয়েছেন মোদী। প্রতি সপ্তাহে এই সমীক্ষার তথ্য নতুন করে নেওয়া হয়।
বিশ্বের (World's Popular Leader) সব তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁর মুকুটে যোগ হল এক নতুন পালক। বিশ্বের ১৩টি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলে ১ নম্বরে নিজের জায়গা তৈরি করে নিলেন মোদী। গ্রহণযোগ্যতার বিচারে পৃথিবীর (World's Leader) মধ্যে সেরার আসনে রয়েছেন তিনি।
আমেরিকার সংস্থা মর্নিং কনসাল্ট (Morning Consult) নামে একটি সংস্থা রাষ্ট্রনেতাদের গ্রহণযোগ্যতার সমীক্ষা করে থাকে। সেই সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে শীর্ষে রয়েছেন মোদী। প্রতি সপ্তাহে এই সমীক্ষার তথ্য নতুন করে নেওয়া হয়। এবার ৭৭ শতাংশ পেয়ে সবার প্রথমে রয়েছেন মোদী। আর পিছনে ফেলে দিয়েছেন বাকি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের। এভাবে গ্রহণযোগ্যতার বিচারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন মোদী। জায়গা করে নিয়েছেন একেবারে শীর্ষে।
আরও পড়ুন- বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ২৫ হাজার সরকারি পদে রাজ্যে দ্রুত নিয়োগের সিদ্ধান্ত
মোদী যাঁদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন সেই তালিকায় রয়েছেন একাধিক রাষ্ট্রনেতা। সেই তালিকায় রয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (joe biden), মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্য়ানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর (Andres Manuel Lopez Obrador), ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি (Mario Draghi), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (fumio kishida),অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (scott morrison), কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (justin trudeau), ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো (jair bolsonaro)। বিশ্বের এই সব তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের একেবারে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
এই সমীক্ষা কোনও দেশের সাবালকদের থেকে পাওয়া তথ্যের সাতদিনের চলমান গড়ের (moving average) উপর নিভর করে তৈরি হয়। তথ্যে সাম্মান্য কিছুটা ভ্রান্তি (margin of error) থাকে বলেও ধরে নেওয়া হয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকায় গড় স্যাম্পেল সাইজ (sample size) ৪৫ হাজার। অন্য দেশগুলিতে স্যাম্পেলের আয়তন গড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার। দেশের জনসংখ্যার সাপেক্ষে স্যাম্পেল বাছাই হয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে জনগণের শিক্ষিত অংশের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে স্যাম্পেল নির্ধারিত হয়েছে। আর এই সমীক্ষার জন্য যে তথ্য প্রয়োজন তার পুরোটাই অনলাইনে করা হয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - কেন যোগী'কে ক্ষমতায় ফেরালো উত্তরপ্রদেশ, সরকারের কোন কোন কাজ পছন্দ করলেন তাঁরা
সমীক্ষাটি চালানোর সময় একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানে একটি প্রশ্ন ছিল তাঁদের দেশ কি ঠিকপথে চলছে? নাকি সঠিকপথে দেশ এগোচ্ছে না? এনিয়ে সমীক্ষাতে অংশগ্রহণকারীদের মত জানতে চাওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের মে মাসে ৫৩ শতাংশ মনে করেছিলেন দেশ ঠিকপথে এগোচ্ছে। চলতি বছরের মার্চে সেই সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ১৫ মার্চে, দেখা গিয়েছে ৭৫ শতাংশই মনে করছেন দেশের অগ্রগতি ঠিক পথেই হচ্ছে।