ভগবন্ত মানের আম আদমি পার্টি (এএপি) পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে প্রধান সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বেকারত্ব। পার্টি ক্ষমতায় আসার পরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
দারুণ সুখবর রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। বিশেষ করে যাঁরা সরকারি চাকরির খোঁজ করছেন, তাঁদের জন্য বড় খবর। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ উৎসাহিত বেকার যুবকরা। রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভা সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। এরই মধ্যে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পঞ্জাবের আপ সরকার। তাই দায়িত্ব নিয়েই বেকার সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী ভগবন্ত মানের সরকার।
শনিবার প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে (first Cabinet meet) বসেই রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী যুবক যুবতীদের জন্য ২৫ হাজার সরকারি (various state departments) চাকরির (25,000 vacant posts) ঘোষণা করলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Punjab Chief Minister Bhagwant Mann)। এর মধ্যে ১০ হাজার শূণ্য পদ রয়েছে পঞ্জাব পুলিশে। এক ভিডিও বার্তায় ভগবন্ত মান ঘোষণা করেন এক মাসের মধ্যে এই সব চাকরির জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তারপরেই দেওয়া হবে বিজ্ঞপ্তি। মেধার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন পঞ্জাব পুলিশে দশ হাজার চাকরি দেওয়া হবে এবং বাকিরা বিভিন্ন বিভাগ, বোর্ড এবং কর্পোরেশনে চাকরি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই সব সরকারি পদে কোনও সুপারিশ বা স্বজনপোষণ বরদাস্ত করা হবে না। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত যুবকদের জন্য একটি স্বচ্ছ এবং মেধা-ভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারী খাতে চাকরি দেবে। রাজ্যে কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুলে দেবে বলে আশা মুখ্যমন্ত্রী মানের।
আরও পড়ুন - কেন যোগী'কে ক্ষমতায় ফেরালো উত্তরপ্রদেশ, সরকারের কোন কোন কাজ পছন্দ করলেন তাঁরা
ভগবন্ত মানের আম আদমি পার্টি (এএপি) পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে প্রধান সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বেকারত্ব। পার্টি ক্ষমতায় আসার পরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসেই তাই নিজেদের প্রতিশ্রুতি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। মান বলেন আগামী দিনে বাকি প্রতিশ্রুতিগুলিও এক এক করে পূর্ণ করা হবে। মন্ত্রিসভা আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে পেশ করার জন্য ২০২১-২২ সালের অনুদানের জন্য সাপ্লিমেন্টারি ডিমান্ড তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, 'শুভেন্দুর সঙ্গে নিজের স্তরকে মেলাচ্ছেন বাবুল', বিস্ফোরক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য
এই সিদ্ধান্তটি ২০২১-২২ আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য সরকার একটি বাজেট সামনে আনবে বলে জানা গিয়েছে, যেখানে মুলতুবি থাকা প্রকল্পগুলিকে রিলিজ করা হবে। এক সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে জানা গিয়েছে ভারতের সংবিধানের ২০৩ অনুচ্ছেদের ধারা (৩)-এ থাকা বিধান অনুসারে, মন্ত্রিসভা ২০২১-২০২২ সালের জন্য পঞ্জাব সরকারের অনুদানের বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। সেই অনুমোদন মিলেছে।
এর আগে শনিবার, একজন মহিলা সদস্য সহ ১০ জন AAP বিধায়ককে ভগবন্ত মান-এর নেতৃত্বাধীন পঞ্জাবের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। চণ্ডীগড়ের পঞ্জাব রাজভবনের গুরু নানক দেব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত দশজন মন্ত্রীকে অফিস ও গোপনীয়তার শপথ পাঠ করান।
ভগবন্ত মান-এর মন্ত্রিসভার অংশ হওয়া নেতারা হলেন হরপাল সিং চিমা, বলজিৎ কৌর, হরভজন সিং ইটিও, বিজয় সিংলা, লাল চাঁদ কাটারুচাক, গুরমিত সিং মিট হায়ার, কুলদীপ সিং ধালিওয়াল, লালজিৎ সিং ভুলার, ব্রাম শঙ্কর এবং হরজোত সিং বেইনস।