দেশের এক নম্বর নাগরিক তিনি। রাইসিনা হিলসে কড়া নিরাপত্তা মধ্যে থাকেন। তাঁর জন্য বরাদ্দ দেশের অন্যতম ভিভিআইপি বিমান এয়ার ইন্ডিয়া। যদিও তাঁর শিকড় গ্রাম। আর এবার সেই জন্মভিটেতে যাওয়ার সময় বিমান নয় ট্রেন সফর বেছে নিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের এই সফরের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- কোভিডে বন্ধ ২৪৫ বছরের মহিষাদলের রথ, তবে রীতি মেনেই মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথদেব
আজই কানপুরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর এই সফরের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। আজ দিল্লির সফদরজং স্টেশন থেকে সেই ট্রেন ছাড়বে। দেশের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের পর এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতি ট্রেনে সফর করবেন। ২০০৬ সালে দিল্লি থেকে ট্রেনে করে দেরাদুনে গিয়েছিলেন এপিজে আব্দুল কালাম। আর তার ১৫ বছর পর ফের ট্রেনে সফর করবেন কোনও রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার পর এই প্রথম নিজের জন্মস্থানে যাচ্ছেন কোবিন্দ। উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতের পরাউঙ্খ গ্রাম। এখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব। সফদরজং স্টেশন থেকে ট্রেনে করে কানপুর যাবেন তিনি। তবে কানপুর স্টেশন পৌঁছানোর আগে ট্রেন দুটি জায়গাতে দাঁড়াবে। ঝিঞ্ঝক ও কানপুর দেহাতের রুয়ায়। সেখানে স্কুলের সহপাঠী, পরিচিত মানুষ ও আগে যাঁদের সঙ্গে সমাজসেবা মূলক কাজ করেছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি। এক কথায় যেন শৈশব ও যৌবনের দিনগুলিতে ফিরে যেতে চাইছেন তিনি। এই সফরের মধ্যে দিয়ে স্মৃতিরোমন্থন করবেন।
আরও পড়ুন- দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ কোটি, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি
এরপর ২৮ জুন কানপুর থেকে লখনউ যাবেন রাষ্ট্রপতি। সেটাও ট্রেনেই যাবেন তিনি। তারপর বিশেষ বিমানে সেখান থেকে দিল্লি ফিরবেন বলে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়েছে।
আর রাষ্ট্রপতির এই সফর ঘিরে রীতিমতো সাজো সাজো রব ভারতীয় রেলে। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে চারস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে রেল পুলিশ, ১০০টি স্নিপার ডগ, ৮০ জন স্পেশাল কমান্ডো। এছাড়া ১০ জেলার পুলিশকেও মোয়াতেন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কোভিড বধে আসছেন মা, দুর্গা প্রতিমার বায়না সারলো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার
রেল সূত্রে খবর, আগেই তিনি বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সংক্রমণের গ্রাফ কমে আসায় তিনি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদও রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর ট্রেনে করে নিজের জন্মস্থানে গিয়েছিলেন। তখন অবশ্য বিমানের তেমন ব্যবস্থা ছিল না। গোটা দেশই তিনি ভ্রমণ করেছিলেন ট্রেনে।