অমরিন্দর সিং বলেছেন রাজনীতি তিনি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সিধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পরে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও তিনি যে নভজ্যোৎ সিং সিধুর (Navjot Singh Sidhu) বিরুদ্ধে রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন না তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং(Amarrinder Singh)। বুধবার তিনি বলেছেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোৎ সিং সিধুকে রুখতে তিনি সবরকম চেষ্টা করবেন। সিধুকে 'বিপজ্জনক' তকমা দিয়ে তিনি বলেছেন রাজ্যকে তাঁর হাত থেকে বাঁচাতে যেকোনও মূল্য দিতে তিনি রাজি রয়েছেন। একই সঙ্গে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও এক হাত নেন তিনি। বলেন দুজনেই অনভিজ্ঞ। উপযুক্ত উপদেষ্টার অভাবে তাঁরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছেন। তাঁর সাফ কথা যে কোনও মূল্যে সিধুকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে দূরে রাখবেন। ক্যাপ্টেনের এই মন্তব্যে আবারও প্রকট হল পঞ্জাব কংগ্রেসের সংকট (Punjab Congress crisis)।
এদিন অমরিন্দর সিং বলেছেন রাজনীতি তিনি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সিধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পরে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনেই তিনি সিধু বাহিনীকে আটকাতে চান। তবে ক্যাপ্টেন দলবদল করবেন কিনা সেব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেছেন তিন সপ্তাহ আগেই সনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফা দেওয়া ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই সময় সনিয়া তাঁকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অনভিজ্ঞ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এদিন তিনি জানিয়েছেন সিধুর বিরুদ্ধে তিনি শক্তিশালী প্রার্থী দাঁড় করাবেন বলেও স্পষ্ট করেছে জানিয়েছেন।
কোথাও ভিন গ্রহীরা আসে, কোথাও আবার ভেসে ওঠে প্রাচীন কঙ্কাল, ভারতের রহস্যে মোড়া এমনই সেরা ১০টি জায়গা
Covid 19: করোনায় মৃত্যুতে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দেবে রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র
তিনি জানিয়েছেন জয়ের পর তিনি সরে যেতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু এভাবে হার স্বীকার করে তিনি রণক্ষেত্র ছাড়়তে কখনই রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন তিনি যোদ্ধা ছিলেন। এখনও যোদ্ধার মানসিকতা রয়েছে তাঁর মধ্যে। গান্ধী পরিবার তাঁকে অসম্মান না করে সরে যেতে বললেই তিনি সরে যেতেন। কিন্তু এখন রণেভঙ্গ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন তিনি ছলনার আশ্রয় নেওয়া কখনও পছন্দ করেন না- এটা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দুজনেই জানে। তারপরেও তারা কেন এমন করল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ক্যাপ্টেন এদিন জানিয়েছেন রাহুল আর প্রিয়াঙ্কার কাজ তিনি কখনই সমর্থন করেন না। রাহুল আর প্রায়াঙ্কাকে তাঁর সন্তানতুল্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানিয়েছেন তাঁদের এই ব্যবহার তিনি রীতিমত হতাশ।
তবে বিধানসভা নর্বাচনের আগে ক্যাপ্টেন-সিধু দ্বন্দ্ব কংগ্রেসের সংকট যে বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী বছরই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দল যখন ঘর গোছাতে ব্যস্ত তখন পঞ্জাবে ঘর ভাঙতে চলেছে কংগ্রেসের। কারণ ক্যাপ্টেন যে সিধুর বিরুদ্ধে বড় কোনও গুটি সাজাচ্ছেন তা এদিনই তিনি স্পষ্ট করে দেন। ক্যাপ্টেন কংগ্রেস ছাড়ছেন কিনা তা অবশ্য জানাননি তিনি।