মুসলিম কারিগরের হাতে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রকাণ্ড ঘন্টা

  • হিন্দু ধর্মে বলা হয় 'শব্দহি ব্রহ্ম'
  • প্রত্যেক মন্দিরেরই প্রবেশ পথে বড় ঘন্টা থাকে
  • অযোধ্যার রামমন্দিরের জন্য তৈরি হচ্ছে এক প্রকাণ্ড ঘন্টা
  • নকশা থেকে তৈরি সবটাই করছেন এক মুসলিম কারিগর

 

amartya lahiri | Published : Nov 14, 2019 10:58 AM IST / Updated: Nov 14 2019, 04:45 PM IST

হিন্দু ধর্মে শব্দকে দারুণ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ঋগ্বেদে বলা হয়েছে 'শব্দহি ব্রহ্ম'। তাই যে কোনও হিন্দু আচার অনুষ্ঠানেই মন্ত্রোচ্চারণের পাশাপাশি ঢাক, ঢোল, কাসর ঘন্টা বাজানো হয়। প্রত্যেক মন্দিরের ক্ষেত্রেই প্রবেশ পথে একটি মূল ঘন্টা থাকে, যা বাজিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন ভক্তরা। অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দিরও তার ব্যতিক্রম নয়।

আরও পড়ুন - কবে থেকে শুরু হবে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ, উঠে আসছে এই পুণ্য তিথি

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়েছে। এখন চলছে ট্রাস্ট গঠনের পালা। মন্দির নির্মান পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই মন্দিরের ঘন্টা তৈরি কাজ। যার ওজন ২১০০ কিলোগ্রাম। আর সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘন্টাটি তৈরি করেছেন এক মুসলিম কারিগর।

আরও পড়ুন - কারা নির্মাণ করবেন রামমন্দির, যোগীকে মাথায় রেখে তৈরি ব্লু প্রিন্ট

পিতলের তৈরি এই ঘন্টাটির ওজনেই বোঝা যাচ্ছে কী প্রকাণ্ড এর পরিমাপ। উচ্চতা ৬ ফুট, আর ঘের ৫ ফুট। রামমন্দির নির্মাণ হয়ে গেলে ঘন্টাটি মন্দিরে জোলানো হবে। এটি তৈরি করিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ইটাহ জেলার জলেসর তহশিলের নগরপালিকা চেয়াম্যান তথা বিজেপি নেতা বিকাশ মিত্তল। খরচ পড়েছে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।

তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য, ঘন্টাটির নকশা করেছেন স্থানীয় এক মুসলিম কারিগর, ইকবাল। তাঁর কর্মশালাতেই গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন কারিগর দিন রাত এক করে এই ঘন্টাটি তৈরি করছেন। ইকবাল জানিয়েছেন, ঘন্টাটি তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। রাম মন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার হওয়ার পর থেকেই ঘন্টাটি নিয়ে লোকের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে চাইছেন তিনি। শেষ পর্বে আরও বেশি সংখ্যক কারিগর লাগিয়েছেন।

আরও পড়ুন - রামমন্দিরের স্বপ্নে ২৭ বছর ধরে চা আর কলা খেয়ে আছেন বৃদ্ধা, রায়েও ভাঙল না তপস্যা

ইকবাল আরও জানিয়েছেন ভারতে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এভাবেই তিনি সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তাই এই দায়িত্ব পেয়ে তিনি অত্যন্ত সম্মানিত। জানা গিয়েছে ঘন্টাটির এক জায়গায় জলেসর-এর নামও খোদাই করা হবে। যাতে রাম মন্দিরে জলেসরের অবদানের কথা সকলে জানতে পারে।

আরও পড়ুন - রামমন্দির নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছেন মুসলিমরাই, ইতিমধ্যেই উঠেছে ৫ লক্ষ টাকা

Share this article
click me!