শবরীমালার সঙ্গে জড়ালো ইসলাম-পার্সিরাও, মামলা এবার কোন পথে

  • অযোধ্যা মামলার রায়দানের সুপ্রিম কোর্টে আরও এক অতি স্পর্শকাতর মামলা
  • আগের রায়ে শবরীমালা মন্দিরে রজস্বযলা মহিলাদের প্রবেশাধিকার দিয়েছিল আদালত
  • এদিন সেই মামলা পাঠানো হল বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য
  • শবরীমালার সঙ্গে জুড়ে গেল ইসলাম-পার্সি ধর্মের বিষয়ও

 

amartya lahiri | Published : Nov 14, 2019 10:03 AM IST / Updated: Nov 14 2019, 03:47 PM IST

অযোধ্য়া মামলার রায়দানের পর বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি অতি স্পর্শকাতর মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল, শবরীমালা মন্দিরে রজস্বলা মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত মামলা। যে মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু বছরের ধর্মীয় বিশ্বাস। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ভাগে বিভক্ত হয়ে ৫ বিচারকের বেঞ্চ যে রায় দিল, তাতে অনেকে বলছেন মামলাটি দীর্ঘায়িত করা হল আবার অনেকেই বলছেন, ইসলাম-পার্সি ধর্ম টেনে এনে মামলাটি আরও বড় মাত্রা পেয়ে গেল।  

শবরীমালা মামলার শুনানির বেঞ্চে ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি রোহিন্টন ফলি নরিম্যান, বিচারপতি এ এম খানউইলকর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। এরমধ্যে প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা রায়ের পক্ষে মত দেন।

এদিন আদালত বলেছে, এই মামলা ধর্মীয় সম্প্রদায় বা ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অনুশীলন সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। শুধু শবরীমালা মন্দিরের ক্ষেত্রেই নয় বিভিন্ন ধর্মের ক্ষেত্রেই এই লিঙ্গ বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। আদালত মসজিদে মুসলিম মহিলাদের প্রবেশধাকির না থাকা, দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের মহিলা যৌনাঙ্গ বিচ্ছেদ, অন্য ধর্মের পুরুষদের বিবাহ করলে পার্সি মহিলাদের 'টাওয়ার অব সাইলেন্স'-এ প্রবেশাধিকার হারানোর মতো বিষয়ের উল্লেখ করে। এই কারণেই এই মামলা ৫ বিচারকের বেঞ্চ থেকে ৭ বিচারকের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, ভারতের সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একই ধর্মের দলের বিভিন্ন সম্প্রপদায় নির্দ্বিধায় তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাসকে বিশ্বাস, অনুশীলন এবং প্রচার করার অধিকার রাখে। তারা পৃথক ধর্ম প্িরবর্তন করলো কিনা, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

 

Share this article
click me!