স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের জম্ম ও কাশ্মীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে। যারমধ্যে লালচকের এই ঘড়ি ঘরে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোতন একটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠানে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান।
প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2022) বিশেষ দিনে বিশেষ ঘটনা ঘটল শ্রীনগরের (Srinagar) লালচক (Lal Chowk) এলাকায গত ৩০ বছর পর এই প্রথম ক্লক টাওয়ারে (Clock Tower) চূড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা (National Flag) উড়িয়ে দিলেন। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) এই এলাকায় প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন।
৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিসবে লালচক এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তলোনের আয়োজন করা হয়েছে মহাধুমধামের সঙ্গে। স্থানীয় প্রশানস ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে সাজিদ ইউসুফ শাহ ও সাহিল বশির নামে স্থানীয় দুই সমাজকর্মী জাতীয় পতাকা উড়িয়েছেন। তাঁরা একটি ক্রেনের সাহায্য ক্লক টাওয়ার বা ঘড়িঘরের চুড়ায় পৌঁছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই এই প্রথমই ঘণ্টাঘরে ভারতের জাতীয় পাতাকা উত্তোতন করা হল। এর আগে এখানে শুধুমাত্র পাকিস্তানের জাতীয় পাতাকাই দেখা যেত। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ব্যক্তিরা পাকিস্তানের ভারতের পতাকা লাগাতে বাধা দিত বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ পাকিস্তানের মদতপুষ্টরা জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি আর উন্নয়নেক বিপক্ষে। তারা শুধু এলাকায় অশান্ত চায়।
স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের জম্ম ও কাশ্মীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে। যারমধ্যে লালচকের এই ঘড়ি ঘরে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোতন একটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠানে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান।
এর আগে প্রায় ৩০ বছর আগে এই এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সময়টা ছিল ১৯৯২ সাল। প্রবীণ বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর জোশী শ্রীনগরের এই জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রথমবারের মত জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন। সেই সময়টার ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম। কারণ সেই সময়ও এই এলাকা ছিল বিতর্কিত। জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকা সচারচর মানুষ এড়িয়ে চলত। তবে বর্তমানে শ্রীনগরের লালচক নতুন করে বিতর্কিত স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর লালচককে কেন্দ্র করে একাধিক আন্দোলন পরিচালিত হয়োছে। তবে এখনও পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে। প্রায়ই পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নিশানা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের গুলির লড়াই নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে সীমান্তের ওপার থেকে পাক সেনা সিজ ফারায়ের কারণে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে।
Arunachal Youth: প্রজাতন্ত্র দিবসে হটলাইনে চিনা ফোন, মুক্তি পেতে পারে অরুণাচলের তরুণ