সংক্ষিপ্ত
গয়ার পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। যারা ট্রেনে আগুন লাগিয়েছে তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গয়া পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের বারবার বলা হয়েছিল, তারা যেন অন্য কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি যেন না করে।
রেলে নিয়োগ বোর্ডের (Railway Recruitment Board) পরীক্ষাকে (Exam) কেন্দ্র করে মঙ্গলবারের মতই বুধবারও উত্তপ্ত বিহার (Bihar)। এদিন গয়াতে (Gaya) চাকরিপ্রার্থীরা (Job Seekers) আগুন লাগিয়ে দিল একটি ট্রেনে (Train Fire)। একই সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে পরীক্ষার্থীরা ভাঙচুর করে ট্রেন ও স্টেশনে। পরিস্থিতি অত্যান্ত উত্তপ্ত বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভকারীরা ট্রেন লাইনে ধর্না অবস্থানে বসে যায়। যার কারণে ব্যহত হয়েছে ট্রেন চলাচল।
গয়ার পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। যারা ট্রেনে আগুন লাগিয়েছে তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গয়া পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের বারবার বলা হয়েছিল, তারা যেন অন্য কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি যেন না করে। যদিও উত্তেজিত পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কম্পিউটার মাধ্যমে দ্বিতীয় পরীক্ষার কোনও নোটিশ ছিল না। এখনও পর্যন্ত কোনও পলাফল প্রকাশ করা হয়নি। কম্পিউটার মাধ্যমের দ্বিতীয় পরীক্ষা বাতিল করার পাশাপাশি পরীক্ষার ফল প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছে তারা।
বিহারে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটাগরি (RRB-NTPC)পরীক্ষা ২০২১ এর বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থী বা চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। মঙ্গলবারই একই ইস্যুতে গোটা বিহারেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তারা। কিন্তু বুধবার তা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভকারীরা স্টেশনে একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডাকতে হয় দমকলবাহিনীকে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টেশনে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন উত্তেজিত চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভকারীদের সামলে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। কারণ গোটা স্টেশন জুড়েই আন্দোনকারীরা ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালায়। পাল্টা আন্দোলনকারীরা রেল লাইনে বসে পড়ে ট্রেন চলাচলে বাধা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে গয়াতে একটি দুরপাল্লার চলন্ত ট্রেনে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ে মারে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সীতামারহিতে পুলিশ পুলিশ রেল স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালিয়েছে। পাটনা, নওয়াদা, মুজাফফরপুর, সীতামারহি, বক্সার, ভোজপুরসহ একাধিক জায়হায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বিক্ষোভে।
বিক্ষোভকারীরা দুটি পর্যায়ে রেলওয়ের পরীক্ষার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, চুড়ান্ত নির্বাচনের জন্য দ্বিতীয় ধাপটিকে তারা প্রতারণা বলে মনে করছে। তাদের আরও অভিযোগ, কম্পিউটারের মাধ্যমে এই পরীক্ষায় যারা প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছিল তারা ছাড় পেয়েছে। কিন্তু বাকিদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। তাদের অন্য অভিযোগ ২০১৯ সালের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র একটি পরীক্ষার কথা উল্লেখ ছিল। সরকার তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে বলেও জানিয়েছে চাকরি প্রার্থীরা।
প্রবল এই হিংসার কারণে রেলওয়ে এই পরীক্ষার প্রথম পর্যায়টি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যা বিভিন্ন রেলওয়ে নিয়োগ বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ব্যর্থদের সঙ্গে কথা বলবে ও অভিযোগ জানবে। উভয় পক্ষের কথা শোনার পরই কমিটি রেল মন্ত্রককে প্রতিবেদন জমা দেবে বলেও জানিয়েছে। অন্যদিকে মঙ্গলবারই রেলওয়ে একটি সাধারণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তারা চাকরি প্রার্থীদের সতর্ক করেছে। বলেছে যারা প্রতিবাদ করার সময় ভাঙচুর ও বেআইনি কার্যকলাপে জড়িয়ে থাকবে তাদের রেলের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে না।
FIR Against Amazon: জাতীয় পতাকার অবমাননা, অ্যামাজনের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
Arunachal Youth: প্রজাতন্ত্র দিবসে হটলাইনে চিনা ফোন, মুক্তি পেতে পারে অরুণাচলের তরুণ