বিশ্ব বাজারে ক্রমেই নিম্নমুখী টাকার দাম। ফের শেয়ার বাজারে নামল ধস। একধাক্কায় পড়ে গেল ৬০০ পয়েন্ট। বিশ্ববাজারে টাকার দাম কমে যাওয়াই এর মূল কারণ বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
পুড়ছে আমাজন, চলছে প্রতিবাদ, কাঠগড়ায় দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট
বুধবার বাজার বন্ধের সময় ডলার প্রতি টাকার যা দাম ছিল তাতে পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাজার খোলার সময় তা আরও কমে দাঁড়ায় ৭১.৬৫ টাকা। এক সময় তা আরও কমে গিয়ে হয় ৭১.৯৭ টাকা। তবে বাজার বন্ধের সময় তা কিছুটা সামলে গিয়ে টাকার মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ৭১.৮১ টাকায়। বুধবার ডলার প্রতি টাকার মান ছিল ৭১.৫৫ টাকা। ইক্যুইটি বাজার এবং বিদেশি মুদ্রার নির্গমণের কারণে ভারতীয় মুদ্রার এই পতন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১১ বছরে রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে চিনা মুদ্রা ইয়েনের। পাশাপাশি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার স্লথ হয়ে যাওয়ায় লগ্নিকারীরা আর নতুন করে বিনিয়োগের ভরসা পাচ্ছেন না।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনাই সমস্যার সমাধান, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে ফ্রান্স
এই বিষয়ে মতামত জানালেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা অশোক মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায় পণ্য আমদানি এবং রফতানির ক্ষেত্রে মূলত ডলার কাজে লাগে। যখন আমরা বিদেশ থেকে কোনও কিছু আমদানি করি তখন এই ডলারের প্রয়োজন পড়ে। কোনও পণ্য আমরা বিদেশে রফতনি করলে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা লাভ করি। আর যখন বিদেশ থেকে কোনও পণ্য আনমদানি করি তখন আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা প্রদান করতে হয়। শেয়ার মার্কেটে ধস নামার ফলে যে সমস্যাটা হয়েছে, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ডলার তুলে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও ডলারের চাহিদা বাড়ছে, ফলত এর মূল্যও ক্রমশ বাড়ছে, পাশাপাশি একইভাবে টাকার কমছে। পাশি টাকার মান কমার বিষয়ে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিদেশী ঋণ রয়েছে, বিদেশি ঋণ শোধ করতে বৈদেশিক মুদ্রাই প্রয়োজন। যার ফলে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে তা হল, টাকা ঋণ নেওয়ার সময়ে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গিয়েছিল, তা পরিশোধ করার জন্য এর থেকেও আরও বেশি টাকা লাগছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এর ফলে বৈদেশিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়বে। যার প্রভাব ভারতীয় অর্থনৈতিক বাজারে পড়ছে।
ভূমিধসে অবরুদ্ধ মানালি-লে জাতীয় সড়ক, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ওড়িশায়
মিড-ডে মিলে নুন-রুটি, যোগী-রাজ্যে শিশুদের পাতে জুটল না সবজী-দুধ
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিনেই টাকার দাম ছিল নিম্নমুখী। তবে রিপোর্ট বলছে গত আট মাসে টাকার দাম রেকর্ড পরিমাণ কমল বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ডলারের তুলনায় ২৬ পয়সা পড়ে গিয়েছে টাকার দাম। মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম পড়ে গিয়ে হয়েছে ৭৭.৯৮। অর্থনীতিবিদদের দাবি গত এক বছরে এটি সর্বনিম্ন বলে দাবি করেছেন।