জেলা শাসকের দফতর মানেই কর্মব্যস্ত অফিস। সেই অফিসে বসে স্যার শুনতেই বেশি অভ্যস্ত জেলা শাসক রাজকমল যাদব। সেই অফিসে বসেও একটি ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ের মুখে কাকু ডাকে কিছুটা হলেও চমকে যান তিনি।
এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকলেন উত্তর প্রদেশের (UP) বাগপতের (Baghpat) জেলা শাসক (DM)। এক সাত বছরের কন্যা তাঁর অফিসে এসে একাধিক আর্জি জানালেন। তবে শিশু কন্যার সাবলীল ভঙ্গিতে অভিভূত হয়েছে বাগপতের ডিএম। মেয়েটির 'ডিএম কাকু' (DM Uncle) ডাকে মোহীত হয়েছেন জেলা শাসক রাজকমল যাদব। নিত্যদিনও কিছু না কিছু আর্জি, অনুযোগ, অভিযোগ তাঁর কাছে বা তাঁর দফতরে জমা পড়ে। কিন্তু একটি ছোট্ট মেয়ে তাঁর অফিসে এসে এমন কতগুলি দাবি জানিয়েছে যে, যেগুলি যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেও মনে করছেন তিনি।
জেলা শাসকের দফতর মানেই কর্মব্যস্ত অফিস। সেই অফিসে বসে স্যার শুনতেই বেশি অভ্যস্ত জেলা শাসক রাজকমল যাদব। সেই অফিসে বসেও একটি ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ের মুখে কাকু ডাকে কিছুটা হলেও চমকে যান তিনি। তারপরই সহকর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন এই অফিসে এত ছোট বাচ্ছা কেন এসেছে। কিন্তু ততক্ষণে সেই ক্ষুদে ঢুকে পড়েছে সটাং জেলা শাসকের অফিসে। রাসভারী জেলা শাসকের সামনে বসে সাবলীলভাবে নিজের আর্জি বা নালিশগুলি তুলে ধরে সে।
বছর সাতের গারভিকা ও টুইটি। বাগপতের বারাউতের বাসিন্দা। সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে পড়াশুনা করেছে। টুইটির বাব আইনজীবী সুনীল পানওয়ার। টুইটি এদিন জেশা শাসকের কাছে একটি শিশুদের খেলার পার্কের আর্জি নিয়ে আসে। পাশাপাশি সে জানান তাদের এলাকা বড়ই অপরিচ্ছন্ন। সেগুলি দ্রুত পরিষ্কার করা জরুরি। সেই আবর্জনা দ্রুত এক স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা জরুরি। সেখানেই টুইটি ও তার বন্ধুদের জন্য খেলার পার্ক তৈরি হতে পারে। শুধু সমস্যা নয়- একই সঙ্গে সমাধানও দিয়েছে সে। যা শুনে হেসেছে ডিএম।
টুইটির বাবা জানিয়েছে, তাঁর মেয়ে খেলাধুলা করতে ভালোবাসে। কিন্তু বাড়ির আসপাশে কোথাও পার্ক নেই। এতটাই পরিচ্ছন্ন এলাকা যে সেইসব স্থান খেলার অনুপযুক্ত। টুইটির দাবি তার বাবা ন্যায্য মনে করেছিল। তাই মেয়েকে নিয়ে এসেছিল জেলা শাসকের দফতরে। সেখানেই বসেই টুইটি সরাসরি বলে, 'ডিএম কাকু আপনি দ্রুত আমাদের সমস্যার সমাধান করুন'। তার অন্য একটি অভিযোগ ছিল তাদের এলাকায় যেসব পুকুরগুলি রয়েছে সেগুলি বড়ই আপরিষ্কার। আবর্জনাপূর্ণ। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরগুলিকে অপরিচ্ছিন্ন করছে। সমস্যা সমাধানে জেলা শাসক দ্রুত পুকুর পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
টুইটি মুগ্ধ করেছে জেলা শাসককে। দ্রুত পার্কের জন্য প্রয়োজনীয় জমি খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি টুইটিকে ভালোবেসে চিপস আর ফ্রুট জুশও খাওয়ান তিনি। জেলা শাসক তার আবেদন নিবেদন শোনায় তিনি টুইটিও খুশি মনে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরে যায়।
'রাজপরিবার চায় দরিদ্ররা পিছিয়ে থাকুক', ভোট প্রচারে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বেআইনি লেনদেন, ৮ ঘণ্টা জেরার পর ইডির জালে নবাব মালিক
'ওমিক্রন নীরব ঘাতক' বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা