কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগকারী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটি কারণ হল ভারতে ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ পরিবেশ তৈরি করা। এরই সঙ্গে বিভিন্ন সেক্টরে নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে নতুন ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগে সাহায্য করা।
দেশে স্টার্ট আপ ব্যবসায় (Agri Start-Ups) উৎসাহ দিতে একাধিক প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার (central government)। সেই স্টার্ট আপ বিজনেস যদি ডিজিটাল সলিউশন (digital solutions), কৃষি (agriculture), পরিবেশ(climate change), শিক্ষা (education) বা গ্রামীণ উন্নয়নের(rural development) ওপরে হয়, তবে ব্যবসায়ীদের পাশে দারুণ সাহায্যের অফার নিয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন্দ্র। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি এবং ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রক ব্যক্তি, বিনিয়োগকারী এবং সংস্থাগুলির কাছ থেকে ব্যবসায়িক আবেদন পেলে সেই অনুযায়ী সাহায্য করতে প্রস্তুত। এখানে রাজ্য সীমিত ইক্যুইটি অংশীদারিত্ব রাখবে।
একজন সরকারি আধিকারিকের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগকারী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটি কারণ হল ভারতে ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ পরিবেশ তৈরি করা। এরই সঙ্গে বিভিন্ন সেক্টরে নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে নতুন ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগে সাহায্য করা।
স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এই বিনিয়োগে ফল পেয়েছে ভারত। এখানে ৯০০ কোটিরও বেশি বিনিয়োগ ছিল। , স্টার্টআপগুলির সম্ভাবনা এবং তারা অর্থনীতির বৃদ্ধিতে যে জোয়ার নিয়ে আসতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা জনমানসে তৈরি হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের পরে, যা ২০২১ সালে ভারত যথাক্রমে ৪৮৭ এবং ৩০১ ইউনিকর্ন যুক্ত করেছে। এই ক্ষেত্রে ভারত ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে ইউনিকর্নের ক্ষেত্রে তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, ১৪ই জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতে ৮৩টি ইউনিকর্ন রয়েছে যার মোট মূল্য ২৭৭.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একটি ইউনিকর্ন হল এমন একটি কোম্পানি যার বাজার মূল্য কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরেকজন সরকারি কর্মকর্তার মতে, ডিজিটাল প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই ভবিষ্যতের রাস্তা সুগম করছে। এর মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রকে নতুন সম্ভাবনার খাত হিসেবে ধরা হচ্ছে। ১৮ ফেব্রুয়ারী দুবাই এক্সপো ২০২০-এ অতিরিক্ত কৃষি সচিব অভিলাক্ষ লিখির হাত দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাজার ধরার সম্ভাবনা তৈরি করেছে ভারত।
আর্কিমেডিসের সূত্র দিয়ে মেদিনীপুরের হাতি উদ্ধার, বাহবা কুড়াল সোশ্যাল মিডিয়ায়
মাছি না গলতে পারা নিরাপত্তা অজয় মিশ্রর, ভোট কেন্দ্রে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
'রাজপরিবার চায় দরিদ্ররা পিছিয়ে থাকুক', ভোট প্রচারে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর
কৃষি-প্রযুক্তির নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য ইক্যুইটি অনুদান, ম্যানেজমেন্ট এক্সপেন্স এবং অন্যান্য সহায়তা ব্যবস্থার প্রস্তাবগুলি কৃষি মন্ত্রক বিবেচনা করছে। সত্তর দশকের সবুজ বিপ্লবের পর থেকে, ভারতের বিশাল কৃষি শিল্প, যা ক্ষুদ্র এবং দরিদ্র চাষীদের নিয়েই চলছিল, কোনও উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দেখতে পায়নি।
কৃষি বিষয়ক স্টার্ট আপে পথ দেখাচ্ছে অ্যাকগ্রোমালিন বা Aqgromalin, DeHaat , নিনজাকার্টের মতো পরিষেবা।
উদাহরণস্বরূপ, অ্যাকগ্রোমালিন হল একটি প্রযুক্তি-চালিত কৃষি প্ল্যাটফর্ম যা "স্ট্যাক টেক" সমাধান ব্যবহার করে কৃষকদের পশুপালন এবং জলজ চাষ ব্যবসায় সুবিধা করে দেয়। অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কৃষি-প্রযুক্তি স্টার্ট-আপ হল DeHaat, যা এন্ড-টু-এন্ড AI-ভিত্তিক সমাধান প্রদান করে। নিনজাকার্ট হল ভারতের বৃহত্তম তাজা সবজি বিতরণ পরিষেবা। কৃষির পাশাপাশি, এই উদ্যোগে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রককেও যুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।