বাজারে সহজলভ্য ড্রোন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ সেনাপ্রধানের

  • এখন অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে উঠেছে ড্রোন
  • ড্রোন হামলা রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
  • ড্রোনের সহজলভ্যতা দেশের নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ
  • ড্রোন হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ সেনাপ্রধানের

Asianet News Bangla | Published : Jul 1, 2021 3:05 PM IST

এখন অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে উঠেছে ড্রোন। সিনেমা থেকে বিয়েবাড়ি, প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট সবক্ষেত্রেই এখন ড্রোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর জিনিসটি এতটাই সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে যে তা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জম্মুতে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। 

আরও পড়ুন- ৬ বছরের যাত্রাপথ, চড়াই উতরাই পেরিয়ে কৈশরে পা দিতে চলেছে ভারত

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিভিন্ন রাষ্ট্রের পাশাপাশি দেশহীন গোষ্ঠীগুলির (নন স্টেট অ্যাক্টর) কাছে ড্রোন পাওয়া এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ফলে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে। হামলাকারী ড্রোন এবং প্রতিরোধী ড্রোনের আবির্ভাব আমাদের ভবিষ্যতের যুদ্ধ কৌশলের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে। বাজারে ড্রোনের সহজলভ্যতা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে উদ্বেগও।"

২৭ জুন প্রথমবার ড্রোন হামলার স্বাক্ষী হয়েছে ভারত। জম্মুতে সেনার বিমানঘাঁটিতে ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় দু'জন জওয়ান জখম হন। এরপরই ড্রোনের সহজলভ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, "ড্রোন এখন এতটাই সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে যে এটি এখন বাড়িতেও তৈরি করা সম্ভব। আর তার ফলেই বিষয়টি জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। সেনাবাহিনীর সবাইকেই বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। আর এর মোকাবিলা করার জন্য যা যা সম্ভব তাই করা হবে।"

আরও পড়ুন- প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ধর্মঘট আর আন্দোলনে 'না' কেন্দ্রের, জারি কঠোর আধ্যাদেশ

এ ক্ষেত্রে সীমান্ত পেরিয়ে আসা হামলাকারী ড্রোনের মোকাবিলায় দ্বিমুখী কৌশলের ইঙ্গিত দিয়েছেন সেনাপ্রধান। প্রথমত, আকাশে শত্রু ড্রোনের উপস্থিতি চিহ্নিত করে সেটি গুলি করে নামানো। দ্বিতীয়ত, সামরিক ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে হামলকারী ড্রোনের মোকাবিলা। তবে তাঁর আশ্বাস, "জম্মু ও কাশ্মীরে যে কোনও ধরনের হামলা মোকাবিলায় শক্তিশালী পরিকাঠামো রয়েছে ভারতীয় সেনার।"

আরও পড়ুন- এশিয়ার দীর্ঘতম হাই স্পিড ট্র্যাক ভারতে, গাড়ির পরীক্ষার জন্য এখন যেতে হবে না বিদেশে

সেনা গোয়েন্দাদের দাবি, মূলত দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাবার কিংবা ওষুধ পৌঁছে দিতে এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার হয়ে থাকে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে পিৎজা এবং ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থেই বেজিংয়ের কাছে থেকে প্রচুর ড্রোন কিনেছে পাকিস্তান। এ ধরনের ড্রোনগুলি যেমন ওজনে হালকা হয়। তেমনই অনেকটা নিচু দিয়ে উড়তে সক্ষম। আবার নির্দিষ্ট টার্গেটে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতেও সক্ষম। জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে বিস্ফোরণে যে ধরনের ড্রোন ব্যবহার হয়েছে তার সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রয় করার ড্রোনের মিল রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে ড্রোন হামলা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।

Share this article
click me!