
উত্তরপ্রদেশে পাঁচ বছর সরকার চালানোর পর যোগী আদিত্যনাথ এখন রাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বিজেপির রাজ্যাভিষেকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিশাল জয়ের পর রবিবার দিল্লিতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তিনি বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন। দেখা করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও। যা নিয়ে এদিন দিনভর জোর চর্চা চলেছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এদিনের বৈঠকের শুরুতে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বড় জয়ের জন্য যোগী আদিত্যনাথকে(Yogi Adityanath) অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Prime Minister Narendra Modi)। আশা প্রকাশ করেছেন যে তিনি আগামী বছরগুলিতে উত্তরপ্রদেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। মনে করা হচ্ছে হোলির পরে সরকার গঠনের আগে মন্ত্রিসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী কৃষকদের জন্য অর্থপ্রদান সংক্রান্ত প্রক্রিয়া প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
জেপি নাড্ডার পাশাপাশি এদিন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গেও দেখা করেন যোগী। যোগী আদিত্যনাথ এবং বিএল সন্তোষের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালও উপস্থিত ছিলেন। একইসাথে রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে যোগীর বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে অনেক বিষয়েই কথা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে নৈশভোজও করেন তিনি। পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। এদিকে সোমবার দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। যোগীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেন, 'গত পাঁচ বছরে যোগী আদিত্যনাথ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে। আমি নিশ্চিত যে আগামী বছরগুলিতে তিনি রাজ্যকে উন্নয়নের আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।”
আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী
আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী
অন্যদিকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ভবিষ্যৎ মন্ত্রিসভা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বৈঠকেই তাঁকে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলা হচ্ছে, মন্ত্রিসভা নিয়ে সোমবারও নেতৃত্বের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে। নয়া মন্ত্রিসভায় জাতি ও অঞ্চলভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিয়েও কথা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ভারসাম্য বাঁধা হবে। জাট প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে নতুন করে জোর দেওয়া হতে পারে বলে খবর।