তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুম্মিতা দেব, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সাত সদস্যের প্রতিনিধিদের একটি দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন।
নাগাল্যান্ড গুলিকাণ্ড (Nagaland killing) নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার দিল্লিতে দেখা করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। শনিবার নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে সেনা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ১৪ জন নিরীহ মানুষ। এই ঘটনাকে নৃশংস বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নাগাল্যান্ড হত্যাকাণ্ডকে ঠান্ডা মাথায় খুন বলেও দাবি করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের (AFSPA) অপব্যবহার করা যাতে না হয় তারও আবেদন জানান হয়।
তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুম্মিতা দেব, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সাত সদস্যের প্রতিনিধিদের একটি দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা নাগাল্যান্ড ইস্যুতে একটি স্মারকলিপিও দেন। তৃণমূল প্রতিনিধি দল নাগাল্যান্ডের ঘটনার জন্য বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলেও সূত্রের খবর। তবে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলেও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। আফস্পা সম্পর্কে কেন্দ্রকে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নাগাল্যান্ডের ঘটনা নিয়ে আগেই সংসদে বিবৃতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে অমিত শাহের বিবৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, আফস্পার ব্যবহার নিয়ে তেমন কোনও বার্তা ছিল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিবৃতিতে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আফস্পা ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাগু রয়েছে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা যেসব সমস্যাগুলির মধ্যে দিয়ে গেছেন তা নিয়ে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কোনও সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১৪ জনের সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু কখনই তারা বৃথা যেতে দেবেন না। সত্যের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
নাগাল্যান্ডে সেনা বাহিনীর গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর পরই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। তারপর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়ে আফস্পা। উত্তর পূর্ব ভারতের অধিকাংশ রাজ্যই এই বিশেষ আইন প্রত্যাহারের দাবি জানায়।নাগাল্যান্ড সরকারই এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়। সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর পরই নাগাল্যান্ডে বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহ্যবাসী হর্নবিল অনুষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনা রয়েছে নাগাল্যান্ডে।
Amit Shah On Nagaland: ভুলবশত গুলি নাগাল্যান্ডে, সংসদে স্বীকার করলেন অমিত শাহ