ত্রিপুরার থানায় জেরা চলাকালীন আচমকাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন কুণাল ঘোষ। এমনকি বমি করে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যান, তড়িঘড়ি করে তাঁকে ত্রিপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রিপুরার থানায় আচমকাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার এনসিসি থানায় জেরা চলাকালীন তদন্তকারীদের মুখোমুখি প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এমনকি বমি করে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যান। তড়িঘড়ি করে তাঁকে ত্রিপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭ অগাস্ট শনিবার ত্রিপুরায় এসে আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব নেতারা। প্রতিবাদে ত্রিপুরার খোয়াই থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতারা। এরপর মহামারী আইনে ত্রিপুরায় দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ ১১ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূলের যুব নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। খোঁয়াই থানায় রুদ্র মূর্তি ধরেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় ধৃতদের তোলা হয় আদালতে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু সহ তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব থানাতেই ছিলেন। তৃণমূলের যুবনেতাদের জামিন মিললেও কলকাতায় ফিরতেই অভিষেক সহ ৫ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ।
উল্লেখ্য, খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা অভিষেক সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য় বসু, সুবল ভৌমিক এবং প্রকাশচন্দ্র দাস। তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত ২ টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। ১৮৬ এবং ৩৪ নম্বর এই দুটি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান এবং পুলিশের কাছে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং কেন দেবাংশু ভট্টাচার্যের আদালতে নিয়ে যেতে দেরি হয়েছে, তা নিয়েও বিস্তারিত কারণ তুলে ধরেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা। অভিষেকরা দীর্ঘ সময় থানার ভিতরে বসেছিলেন। 'তৃণমূলের নেতারা পুলিশকে বিজেপির দালাল' বলে থানার মধ্যেই বসে বলে দুর্ব্যবহার করেছেন, বলে বিস্ফোরক অভিযোগ অভিষেকদের বিরুদ্ধে এনেছেন তিনি। পাশপাশি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পুলিশের পদস্থ দুই কর্তা এসডিপিও এবং অ্যাডিশনাল এসপি-র সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা।
আরও পড়ুন, মঙ্গলে কলকাতায় পা রেখেই মমতাকে তোপ, সুকান্তকে বরণ করল বঙ্গ BJP
সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার কুণাল ঘোষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ত্রিপুরায়। তলব পেয়ে এদিন সকালে তিনি আগরতলা পৌছন। এনসিসি থানায় শুরু জেরা।তদন্তকারীদের মুখোমুখি প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এরপরেই বমি করে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যান। এই মুহূর্তে তিনি ত্রিপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। রক্তচাপের হেরফের হচ্ছে কিনা, খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকেরা। কুণাল ঘোষের অসুস্থতা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন রাজ্য় তৃণমূল। ফোন করে তাঁর খবর নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা