২০১৬ সালে কিউবায় প্রথম এই রোগের ধরা পড়়ে। পরবর্তীকালে রাশিয়া, চিন, অস্ট্রিয়াসহ বেশ কয়েকটিদেশের গুপ্তচর আর কূটনৈতিকদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
চলতি মাসের শুরুতেই নতুন দিল্লি সফরের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থা CIA-র এক কর্তা। তাঁর শরীরে কিছু রহস্যজনক উপসর্গ দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে এটি হাভানা সিনড্রোম (Havana Syndrome)। এই প্রথম এই রোগের উপসর্গ দেখা গেল ভারতে। সিএনএন এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল মার্কিন কর্মকর্তা উইলিয়ম বার্নসের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ভারত সফরে এসেছিলেন। সেই সময়ই ভারতে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের ভিয়েতনাম সফরের কথা ছিল। কিন্তু সেই সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়। গত মাসে তাঁর সফরের আগেই এক মার্কিন কর্মীর শরীরে হামানা সিনড্রোমের লক্ষ্মণগুলি দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে কিউবায় প্রথম এই রোগের ধরা পড়়ে। পরবর্তীকালে রাশিয়া, চিন, অস্ট্রিয়াসহ বেশ কয়েকটিদেশের গুপ্তচর আর কূটনৈতিকদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এটি একটি রহস্যজনক স্নায়ু রোগ।
হাভানা সিন্ড্রোম রোগের মূল লক্ষ্ণণগুলি হল- বমি বমি ভাব, গুরুতর মাথাব্যাথা, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা ঘুমের সমস্যা, শ্রবণশক্তি হ্রাস। ২০১৬ সালের শেষের দিকে কিউবার রাজধানী হাভানায় কর্মরত মার্কিন কূটনৈতিক ও অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের হোটেলের ঘরে থাকার সময় অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেতেন। তাঁদের শরীরে একটি অদ্ভুদ অনুভূতি হত। তারপরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
Taliban: আফগানিস্তানের মসনদে বসেই ব্যাক্ট্রিয়ান সোনার খোঁজ তালিবানদের, যোগ রয়েছে ভারতেরও
বাংলা বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কে, কেনই বা তাঁকে বেছে নিলেন মোদী-শাহ জুটি
Crime News: প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন স্ত্রীর, রাসায়নিক দিয়ে প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েই বিপত্তি
হাভানা সিনড্রোমের কারণ কী?
এজাতীয় রোগের প্রথম রিপোর্ট হয়েছিল ২০১৬ সালে। পাঁচ বছর পরেও চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা এই রোগের কারণ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে একাধিক তত্ত্ব ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। অনেকেই একে মানসিক রোগ বলে দাবি করেছেন। অনেকেই দাবি প্রতিপক্ষের গুপ্তচর বা কূটনৈতিক কর্তাদের কাবু করে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। তবে একটি দল এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে কূটনীতিক বা গুপ্তচরদের একটু বেশি চাপ থাকার কারণেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
তবে সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে এক বিশেষজ্ঞ রবার্ট ডাব্লু বালহ জানিয়েছে এটি গণ সাইকোজেনিক বা স্ট্রেস রিলেটেড অবস্থা। বালোহ বলেন কোনও খারাপ খাবার খেয়েছেন বা তাদের খাবারে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে -এজাতীয় আতঙ্ক থেকে এই রোগে আক্রান্ত হন অনেকে। বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে সাধারণত মানুষিক চার থেকেই এজাতীয় রোগ হয়।কিউবাতে বিশেষ করে মার্কিন কর্তা আর গুপ্তচররা কিছুটা হলেও চাপের মধ্যে ছিলেন। সেই কারণেই তারা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন মার্কিন কর্তারা অতি সচেতন আর আতঙ্কে ছিলেন। সেই কারণেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।