ভারতে মেয়েদের বিকাশের জন্য একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত সরকার চালু করেছে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্প। তারপরেও এদেশের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে মেয়েদের উপর হেনস্থার ঘটনা। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ছত্তিশগড়ের যোশপুর। যেখানে ধর্ষণের চেষ্টার সাজা হল ২টো থাপ্পড়। আর তাতেই সাতখুন মাফ। ধর্ষণের চেষ্টাকে এভাবেই দেখছে ভারতের এক গ্রাম পঞ্চায়েত। গোটা ঘটনায় পুলিশে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই রায় দিয়েছে ছত্তিশগড়ের ওই পঞ্চায়েত।
আরও পড়ুন: ফাঁসির ৩ দিন আগে নতুন নাটক নির্ভয়ার অভিযুক্তের, ঘটনার দিন দিল্লিতে ছিলাম না দাবি মুকেশের
ঘটনা ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে যোশপুরে। অভিযোগ ২০ বছরের এক তরুণী কলেজ থেকে ফেরার পথে তাঁতে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নীতিশ ভগত নামে এক ব্যক্তি। প্রথমে ওই তরুণীতে বাইকে করে বাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় নীতিশ। প্রথমে তরুণী নীতিশের বাইকে বসলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই টের পান ওই ব্যক্তি গাড়ি চালাতে চালাতে তার শ্লীলতহানি করছে। এরপর এক নির্জন জায়গায় তরুণীকে নিয়ে গিয়ে নীতিশ ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় তরুণী।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে শুনসান চিড়িয়াখানা, দর্শকের ভূমিকায় পেঙ্গুইন দম্পতি, ভাইরাল হল ভিডিও
বিষয়টি বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের জানান ওই তরুণী। খবর পঞ্চায়েতের কাছে পৌঁছতেই নিগৃহীতাকে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলা হয়। জানা যাচ্ছে, নীতিশ ভগত সম্পর্কে কংগ্রেস বিধায়ক বিনয় ভগতের শালা হন । সেই কারণেই কেবল দুটি চড় মেড়েই সমস্যাটি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।
ভগতের বোন তথা বিধায়কের স্ত্রী তার দুই গালে চড় মারে। সেটি ভিডিও করে রাখে কিছু গ্রামবাসী। পরে সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভিডিও। বিষয়টি ভাইরাল হতে নজরে পড়ে পুলিশের। এই বিষয়ে মমালা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যোশপুরের এসপি এসএল বাঘেল। যদিও অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে প্রথমে পুলিশ তাদের অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ করেছে নিগৃহীতার পরিবার।