পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে জোট সরকার চালাচ্ছে দলটি। তাঁর প্রধান তিন জোটসঙ্গী মন্ত্রিসভা থেকে দ্রুত পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত খবর আসছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের যেকোনও সময় পতন হতে পারে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে জোট সরকার চালাচ্ছে দলটি। তাঁর প্রধান তিন জোটসঙ্গী মন্ত্রিসভা থেকে দ্রুত পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল বলে খবর। আর তা হলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো ইমরান সরকারের জন্য শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর দলকে সমর্থনকারী দলের এক শীর্ষ নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। তা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ইমরান সরকারের প্রিয় পাত্র তথা পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির স্পিকার PMLQ-এর নেতা পারভেজ এলাহির দাবি ক্ষমতাসীন জোটে থাকা পিটিআই-এর সমস্ত মিত্ররা বর্তমানে বিরোধীদের দিকে ১০০ শতাংশই ঝুঁকে গিয়েছে। তিনি বলেন, ইমরান খানের দায়িত্ব এটাকে নিজের দিকে ফিরিয়ে আনা। কিন্তু তিনি তা কতটা পারবেন তা নিয়েই বাড়ছে ধোঁয়াশা। এদিকে এলাহির বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এ পর্যন্ত ইমরানকে সমর্থনকারী দল, বিএপি, এমকিউএম-পি এবং পিএমএল-কিউ এই অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও এর আগে, ইমরান দাবি করেছিলেন বিরোধী নেতাদের পরিবর্তে জনগণ তার সাথে রয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবের ঠিক আগে ২৭ মার্চ ইসলামাবাদে বিশাল মিছিলেরও আয়োজন করেছেন ইমরান। কিন্তু তাতে জলের গতি বদলাবে কিনা তা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন- ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখার জন্য মিলবে অর্ধ-দিবস ছুটি, বড় ঘোষণা অসমে
আরও পড়ুন- জনবহুল রাস্তায় ছুটছে জ্বলন্ত ট্রাক, পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচল চালক-খালাসি
আরও পড়ুন- বাংলায় জোটে নেই আপ-তৃণমূল, বাংলায় মাটি শক্ত করতেই জোরালো দাবি আম-আদমি পার্টির নেত্রীর
এদিকে পারভেজ ইলাহির পাকিস্তান মুসলিম লিগ কায়েদ পার্টি পাক সরকারে ইমরান খানের গুরুত্বপূর্ণ জোটসঙ্গী। পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে ৫ সদস্য নিয়ে ইমরান খান সরকারের ওপর তাঁর সমর্থন রয়েছে। তা উঠে গেলে ইমরান যে বেজায় সমস্যায় পড়বেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমতাবস্থায় বিরোধী দলগুলি জাতীয় পরিষদের স্পীকারকে অর্থনীতি ও বৈদেশিক নীতির দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইমমরা খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ডাক দিয়েছে। সূত্রের খবর ২৮-৩০ মার্চের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হতে পারে। যদিও পারভেজ ইলাহির দাবি তাঁর আগেই ইমরানের উচিত পুরনো জোটসঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলা। তাদের বুঝিয়ে সমর্থন রাখতে না পারলে সরকার যে পড়বেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।