জেলবন্দি অবস্থায় ইমরান খানের দল ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১০১টি আসন পেয়েছে। কিন্তু সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগারের থেকে এখনও এই দলের ঝুলিতে ৩২টি আসন কম রয়েছে।
৬০ ঘণ্টা পরে শেষ হল পাকিস্তানের ভোট গণনা। দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিল। পাশাপাশি চলছিল রাজনৈতিক সংকটও। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের আশা ছিল ভোটের পর রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান সংসদ ত্রিশঙ্কু হয়েছে। সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে ইমরান খানের তেহরিক - ই- ইনসাফ পার্টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ - নওয়াজ, তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারির দল পাকিস্তান পিপিলস পার্টি।
জেলবন্দি অবস্থায় ইমরান খানের দল ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১০১টি আসন পেয়েছে। কিন্তু সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগারের থেকে এখনও এই দলের ঝুলিতে ৩২টি আসন কম রয়েছে। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দলও এক জোট হয়ে সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার অর্জন করতে পারেনি। তাই রাজনৈতিক সংকট আপাতত কাটছে না। তবে ফলাফলের জন্য পিটিআই-এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানান হয়েছে। একটি সূত্রের খবর দেশের তরুণ প্রজন্ম ইমরান খানের পক্ষেই ভোট দিয়েছিল। তাতেই এই ফলাফল।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ফলাফল প্রকাশের দেরির জন্য ইন্টারনেট সমস্যাকে দায়ী করেছেন। কমিশন বলেছেন, দুর্বল ইন্টারনেট সমস্যার জন্যই ফলাফল পেতে ও তা সরবরাহ করতে দেরী হয়েছে। যদিও গণনার মধ্যেই পাকিস্তানের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও নওয়াজ শরিফ নিজেরাই নিজেদেরকে জয়ী বলে ঘোষণা করেছে। যদিও নওয়াজ ও বিলাওয়াল ইতিমধ্যেই জোট প্রক্রিয়া নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে। তবে পিটিআই জোট সরকার গঠনে রাজি নয় বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে। তারা পাকিস্তান সংসদে থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানিয়েছে।
পাকিস্তান সেনা বাহিনী সমর্থিত নওয়াজ শরিফের দল নির্বাচনে ৭৩টি আসন পেয়েছে। পরবর্তী স্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো। আসন সংখ্যা ৫৪টি। অন্যদিকে ইমরান খানের দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে ভোটচুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলের নেতারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।