লকডাউনে মন ভরে চা, সঙ্গে অসহায় ৫০০ জনকে খাবারও খাওয়ালেন শহরের দোকানি

 

  •  লকডাউনে সবচেয়ে  বাঙালি বেশি মিস করেছেন, চা 
  •  মাটির ভাঁড়ে চায়ে চুমুক না হলে একেবারে চলে না 
  •  মাটির ভাঁড়ে ধোঁয়া ওঠা চা বিলি করলেন পাড়ার খোকনদা 
  •  অসহায় ৫০০ জনকে খাবার খাওয়ানোরও দায়িন্ত নিলেন 

Ritam Talukder | Published : Apr 3, 2020 8:09 AM IST / Updated: Apr 03 2020, 01:41 PM IST

 লকডাউন এ সবচেয়ে বেশি মিস করেছেন  চা-কে। সকালে বাড়ির চা খেয়েও পাড়ার দোকানে মাটির ভাঁড় বা কাপে চুমুক না হলে মোটেই চলে না বাঙালির। আর সেই মনের কথা বুঝেই চা বিলি করে মন ছুঁয়ে গেল শহরতলির পাড়ার খোকনদা।

আরও পড়ুন, অনলাইনে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট বুকিং চালুই রয়েছে , বিভ্রান্তি দূর করতে টুইট রেলের

 চাল ডালের মতো চা-ও যে ভোজনরসিক বাঙালির কাছে এসেনশিয়াল। এদিকে লকডাউনের দরুণ তালা ঝুলছে চায়ের দোকানে। অথচ চাতক বাংলা। চাল ডাল খিচুড়ির ডিম পাশাপাশি সকালে মাটির ভাঁড়ে ধোঁয়া ওঠা গরম চা বিলি করলেন পাড়ার খোকনদা। এর জন্য পাড়ার চায়ের দোকানের শম্ভুদা বিমল দা কে ধরে আনছেন। চা-টা ভালো হওয়া চাই যে। আয়োজনে পাড়ার খোকন। শুক্রবার সাতসকালে শ্য়ামপুকুর স্ট্রীট, শোভাবাজার, হাতিবাগান, শ্য়ামবাজার প্রায় সব জায়গাতেই অসহায় ৫০০ জনের সকালে চা থেকে পেট ভরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন পাড়ার খোকন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মানুষের পাশে সময় কাটাচ্ছেন তার দেখানো পথে এক ক্ষুদ্র উদ্যোগ। 

আরও পড়ুন, পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ


উল্লেখ্য়, লকডাউনে দেখতে দেখতে অনেকগুলি দিন পার করল শহর কলকাতা। করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাক মানবজীবন এটা সবারই মুখে মুখে। তবে মনের কথা শেয়ার করার মত শহরবাসী অন্য়তম প্রিয় জায়গাই হল চায়ের দোকান। অনেকের মতে,  লকডাউনে চা-এ চুমুক দিয়ে সেই আলোচনা সম্ভব না হলেও মনবাসনা অনেকটাই পূর্ণ করলেন পাড়ার এই খোকনদা। 

 

ফের তথ্য গোপন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাইয়ের, আইসোলেশনে ভর্তি বরানগরের বাসিন্দা

জ্বর নিয়েই ট্রেন করে একটানা অফিস, ভয়ে কাঁটা রাজ্য়ের করোনা আক্রান্তর সহকর্মীরা
 

রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২

 

Share this article
click me!