মানিকতলায় নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবার খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এবার রক্ষকের এই ভক্ষকের ভূমিকায় ছড়াল চাঞ্চল্য।
মানিকতলায় নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবার খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। আর এবার রক্ষকের এই ভক্ষকের ভূমিকায় ছড়াল চাঞ্চল্য। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবলকে। শহরের বুকে এমন ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শহরের ওই চলন্ত অটোয় ওই নাবালিকার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে উল্টোডাঙা এাকায় মায়ের সঙ্গে অটোয় করে বাড়ি ফিরছিল নাবালিকা। ওই অটোরই যাত্রী ছিলেন অভিযুক্ত কন্সটেবল। চলন্ত অটোতেই কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল দেবু মণ্ডল নাবালিকার শ্লীলতাহানি করে। নাবালিকা অনুভব করে , তা গোপানাঙ্গে স্পর্শ করা হচ্ছে। তখনই মাকে বিষয়টি জানালে ১০০ ডায়াল করা হয়। আর তখনই অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা।নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, ১০০ ডায়াল করে অভিযোগ জানাতেই হাজির হয় পুলিশ। এসে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তকে মানিকতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, কোন্নগরে তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্তের সঙ্গে কাঞ্চন মল্লিকের ছবি ভাইরাল, সরব বাম-বিজেপি
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের ওই কনস্টেবলের নাম দেবু মণ্ডল। তলন্ত অটোয় নাবালিকায় শ্লীলতাহানি করা হয়বলে অভিযোগ। ঘটনার পর উল্টোডাঙা থানায় যান নির্যাতিতার পরিবার। তারপর নির্যাতিতাকে নিয়ে মানিকতলা থানায় যায় উল্টোডাঙা থানার পুলিশ। সেখানেই গ্রেফতার করা হয়, অভিযুক্তকে। প্রসঙ্গত, দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। কোথাও কলকাতা পুলিশ, কোথাও সিবিআই তদন্ত চলছে। গ্রেফতারও হচ্ছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত ধর্ষণ হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে, কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। তবে যাদের উপর মানুষ ভরসা করবে, সেই রক্ষকই অভিযুক্ত হওয়ায় খানিকটা উদ্বেগের মুখে শহরবাসী।
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য
আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার