',গাজাতে বোমা পড়লে মিছিল বের করেন, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন বাংলা মেয়ে', উপনির্বাচনের দোরগড়ায় ভোট প্রসঙ্গ তুলে ফের বাংলাদেশ ইস্যুতে মমতাকে তোপ দাগলেন রাজ্য়ের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
'বাংলাদেশের (Bangladesh Violence) ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন বাংলা মেয়ে', (By Election) উপনির্বাচনের দোরগড়ায় ভোট প্রসঙ্গ তুলে ফের বাংলাদেশ ইস্যুতে মমতাকে (CM Mamata Banerjee) তোপ দাগলেন রাজ্য়ের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত ধরা পড়লেও মমতার মুখ বন্ধ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব শিশির পুত্র।
আরও পড়ুন, Bangladesh Violence: পুলিশের জালে কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক হিংসার মূলচক্রী ইকবাল
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মেরুকরণের কিছুই নেই। তিনি তো যেকোনও কাজে টুইট করেন। গাজাতে বোমা পড়লে মিছিল বের করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন বাংলার মেয়ে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়ে তীব্র আক্রমণ করেন এদিন শিশির পুত্র। এদিন তিনি পুজোয় মমতার আদলে দুর্গা প্রতিমার বিতর্কিত প্রসঙ্গও তুলেছেন। শুভেন্দু বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি মানে দুর্গার মুখে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বসানো নয়। অভিযোগ করেন, তোষণের রাজনীতি করছে তৃণমূল। এখানেই শেষ নয় -তোপ দেগে আরও বলেছেন, ৩৮ .১৩ শতাংশ যে ভোট পেয়েছি, তাঁর ১০০ শতাংশ সনাতনের ভোট। এতে কোনও জল নেই। তবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পাওয়া ৪৭ শতাংশ ভোট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন, 'দেশটা কি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে ', বাংলাদেশকাণ্ডে সরব অপর্ণা, 'প্রলাপ' বলে কটাক্ষ তথাগতর
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, 'বাংলাদেশের ঘটনায় হাসিনার সরকারকে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। না হলে ফারাক্কার জল থেকে পেট্রাপোল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে ইতিমধ্য়েই বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন গ্রেফতার হয়েছে। তোলা হয়েছে আদালতেও। উল্লেখ্য এর আগে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে হাইকমিশনারের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলেছেন তিনি। সেখানে শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, তাঁরা সনাতনের ভোটে জিতেছেন, তাই তাঁরা দায়বন্ধ।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডেলকে কেন্দ্র করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লার ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের পুলিশ। কুমিল্লার হিংসার ঘটনার পরই চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ চট্টগ্রাম ও বাংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দির এলাকাতে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। তারপরেও থামেনি হিংসা। তাণ্ডবলীলা চলে বাংলাদেশের ইসকনের মন্দিরে। বাংলাদেশের হিংসাকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই মূলচক্রী ইকবালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই হিংসাকাণ্ডে মোট ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে