' বাংলাদেশে হচ্ছেটা কী, দেশটা কি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে', বাংলাদেশের হিংসাকাণ্ডে  সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অপর্ণা সেন। সরব হতেই চিত্র পরিচালককে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়।  

বাংলাদেশের হিংসাকাণ্ডে (Bangladesh Violence) সোশ্যাল মিডিয়ায় অপর্ণা সেন (Film Maker Aparn Sen)প্রতিবাদ জানাতেই তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হিংসাকাণ্ডে একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন বলে মমতার দিকে তোপ দেগেছেন বিজেপির দিলীপ-সুকান্তরা। আর এবার হিংসাকাণ্ডে মুখ খুলতেই চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেনকে চরম কটাক্ষ করলেন তথাগত (BJP Leader Tathagata Roy)।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন, 'প্রয়োজনে বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠাবে দিল্লি', হিংসাকাণ্ডে হুঁশিয়ারী নিথীথ-শুভেন্দুর

সোশ্যাল মিডিয়ায় অপর্ণা সেন লিখেছেন, বাংলাদেশে হচ্ছেটা কী, দেশটা কি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে। খালি শুনছি বাংলাদেশি হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বন্ধ করুন। দয়া করে এসব বন্ধ করুন। গোটা বিশ্ব অশান্ত হয়ে উঠেছে। পুজোর সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি যে হিংসা চলেছে , তার আমি সর্বান্তকরণে ধীক্কার জানাই। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছি। সংখ্যা লঘুদের রক্ষা করার দায়িত্ব সংখ্যা গুরুদের হাতে। হিংসার পথ কোনও পথ নয়। আমি সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করি। আর অপর্ণার এই টুইটকে রিটুইট করে বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেছেন, হঠাৎ কি মনে করে প্রলাপ । অপর্ণা সেন কেন এত দেরী করে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে টুইট করলেন এনিয়ে অপর এখ নেটিজেনের কমেন্টে রিটুইট করেন বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য, বাংলার ছবির অভিনেত্রী তথা পরিচালক শুধু অপর্ণা সেনই নয়, বাংলাদেশের হিংসাকাণ্ডে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে সই করেছেন পবিত্র সরকার, কৌশিক সেন, দেব শঙ্কর হালদার প্রমুখেরা।

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন', বাংলাদেশের হিংসা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় বিস্ফোরক সুকান্ত-দিলীপ

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডেলকে কেন্দ্র করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লার ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের পুলিশ। কুমিল্লার হিংসার ঘটনার পরই চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ চট্টগ্রাম ও বাংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দির এলাকাতে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। তারপরেও থামেনি হিংসা। তাণ্ডবলীলা চলে বাংলাদেশের ইসকনের মন্দিরে। শনিবার নোয়াখালির চৌমুহনীতে ইসকন মন্দিরে প্রায় ৫০০ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। এরপর মন্দির সংলগ্ন পুকুরের কাছ থেকে প্রান্ত চন্দ্র নমোদাস নামের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এই হিংসার ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে এই হিংসার ঘটনার একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় 'মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন, রাজ্য সরকারের ভূমিকায় আমরা মোটেও সন্তুষ্ট নই। এতবড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে, অথচ সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফ থেকে বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে আমরা কোনও বিবৃতি পায়নি। ' বাংলাদেশের হিংসা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ 

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায় 

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে 

YouTube video player