বাংলাদেশের হিংসা বন্ধ না হলে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশপাশি তিনি বাংলাদেশের সরকারকে অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছেন।
বাংলাদেশের হিংসা (Bangladesh violence) বন্ধ না হলে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশপাশি তিনি বাংলাদেশের সরকারকে (Bangladesh Govt) অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছেন। এই ঘটনায় বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও।
আরও পড়ুন, 'বাংলাদেশের ঘটনায় কারা উপকৃত হচ্ছে', শুভেন্দুর কথা টেনে BJP-কে তোপ কুণালের
শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনায় হাসিনার সরকারকে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। না হলে ফারাক্কার জল থেকে পেট্রাপোল বন্ধ করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য এর আগে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে হাইকমিশনারের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলেছেন তিনি। সেখানে শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, তাঁরা সনাতনের ভোটে জিতেছেন, তাই তাঁরা দায়বন্ধ। তিনি সেখানেও গিয়ে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন, বাংলাদেশের হিংসা যদি বন্ধ না হয়, তাহলে তাঁরা হিলি এবং পেট্রোপোলে গিয়ে কর্মসূচী নেবেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করেছে বিজেপি। যা আসানসোলের বিএনআর মোড় থেকে ভগৎ সিং মোড়ে শেষ হয়। মিছিলে নের্তৃত্ব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, ডিসেম্বরেই রাজ্যে কলকাতা-হাওড়া পুরভোট, কটি ধাপে সম্পূর্ণ করতে চাইছে কমিশন
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এখনও বিষয়টি তদন্ত করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকারও প্রয়োজনীয় করছে। প্রয়োজন হলে আগামী দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে ভারত। এ দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রতিনিধি দলও পাঠানো হতে পারে বলে বার্তা নিশীথের। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডেলকে কেন্দ্র করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লার ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের পুলিশ। কুমিল্লার হিংসার ঘটনার পরই চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ চট্টগ্রাম ও বাংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দির এলাকাতে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। তারপরেও থামেনি হিংসা। তাণ্ডবলীলা চলে বাংলাদেশের ইসকনের মন্দিরে। শনিবার নোয়াখালির চৌমুহনীতে ইসকন মন্দিরে প্রায় ৫০০ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। এরপর মন্দির সংলগ্ন পুকুরের কাছ থেকে প্রান্ত চন্দ্র নমোদাস নামের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এই হিংসার ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে এই হিংসার ঘটনার একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে