রাজ্য়ের করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্য দফতরের সহকারি অধিকর্তা এবং মিন্টো পার্কের বেসরকারি হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন এই মুহূর্তে রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। দুইজনেই এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন সল্টলেক আমরি হাসপাতালে। আচমকাই তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। এরপরেই ভেন্টিলেশনে দিতে হয়।
আরও পড়ুন, লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন আইনজীবীরা, সাহায্য়ে এগিয়ে এল বার কাউন্সিল
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সহকারি অধিকর্তা, যিনি সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের দায়িত্বে ছিলেন। জ্বর, সর্দি-কাশি সহ গত শুক্রবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন এই স্বাস্থ্য কর্তা। শুক্রবারই তাঁর লালারসের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। শনিবার সকালের পর থেকেই বেহালার বাসিন্দা স্বাস্থ্য কর্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেক আমরি হাসপাতালে। শনিবার রাত থেকেই ফের তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এরপর রবিবার স্বাস্থ্য কর্তাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। ২৪ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন, লকডাউনে ছবি দেখে শিউরে উঠবেন আপনি, নিউটাউনের মাছ বাজারে 'শুধুই মাথা'
অপরদিকে, গত ১৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার কলকাতা মিন্টো পার্কের বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউ নার্সিংহোমের অর্থোপেডিক সার্জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। ওইদিনই তাঁকে সল্টলেক আমরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে কলকাতার অন্যতম করোনা হাসপাতাল হিসাবে এই আমরি হাসপাতাল চিহ্নিত। সামান্য জ্বর,কাশি, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্ট পরিমাণ প্রচুর বেড়ে যায়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। দুপুরে তাঁকেও ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। তাই এই মুহূর্তে শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্তা এবং বেসরকারি হাসপাতালে বর্ষিয়ান চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
'হটস্পট' এলাকা থেকে আসায় প্রসুতিকে ফিরিয়ে দিল এনআরএস, চরম যন্ত্রনা নিয়ে ঘরেই প্রসব-মৃত সদ্যোজাত
করোনার কোপ এবার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু ক্যানসার রোগীর,আতঙ্ক ছড়াল রাজারহাটের হাসপাতালে