সংক্ষিপ্ত
- হাওড়া ফুল মার্কেটের পর এবার নিউটাউনের মিশন বাজার
- লকডাউন উপেক্ষা করে চলল গাদাগাদি করে কেনাকাটি
- করোনা রুখতে যেখানে সামাজিক দূরত্ব প্রধান হাতিয়ার
- সেখানে গা ঘেষাঘেষি করে মাছ কিনলেন ক্রেতারা
হাওড়া ফুল মার্কেটের পর এবার নিউটাউনের মিশন বাজার। লকডাউন উপেক্ষা করে চলল গাদাগাদি করে কেনাকাটি। করোনা রুখতে যেখানে সামাজিক দূরত্ব প্রধান হাতিয়ার, সেখানে গা ঘেষাঘেষি করে মাছ কিনলেন ক্রেতারা। এমনকী বিক্রেতাদের অনেকের মুখেও মিলল না মাস্ক। ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়তেই রুমালে মুখ ঢাকলেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
পাতিপুকুর মাছের আড়ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রবিবার উপচে পরা ভিড় দেখা গেল নিউটাউন মিশন বাজারে। সামাজিক দূরত্ব থেকে মাক্স সব যেন শিঁকেয় উঠেছে।আড়ত কমিটির কোনও তৎপরতা চোখে পড়ল না । সকালে মাছের আড়তে গিয়ে দেখা গেল এক অন্য চিত্র। কোথায় লকডাউন কোথায় সোশ্যাল ডিস্ট্য়ান্স। এখানকার স্থায়ী ব্য়বসায়ীদের অভিযোগ, যারা অন্য কাজে যুক্ত ছিল লকডাউনে কাজ হারিয়ে আজ তারাও মাছ ব্যবসা শুরু করেছে তাতেই বাজারে ভিড় বাড়ছে ।
রুজি-রোজগারের কথা ভাবতে যাওয়ার ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে বাংলা। কদিন আগেই লকডাউনে ফুল বিক্রেতাদের ছাড়পত্র দিয়েছিল রাজ্য় সরকার। সম্প্রতি হাওড়া ফুল মার্কেটের ছবি দেখে চমকে উঠেছে রাজ্য়বাসী। সোশ্য়াল ডিস্ট্য়ান্সিং তো দূর, ঠেসাঠেসি করে চলছে বাজারের কাজ। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। এবার সেই একই ছবি দেখা গেল নিউটাউনে।
'নন্দীগ্রামে সিপিএমের মতো অবস্থা, করোনায় লাশ গায়েব করছে তৃণমূল'.
লকাডাউনে খাবারের জোগান স্বাভাবিক রাখতে বাজার খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই বাজারে কীভাবে দাঁড়াতে হবে তা রাস্তায় দাগ কেটে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মুখ্য়মন্ত্রীর এই সচেতনতার পাঠ পড়ানোর পরও শোধরায়নি কলকাতা। রবিবার যার সাক্ষী রইল নিউটাউনের মিশন বাজার।
এর আগে মিষ্টির দোকানের পর লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়েছে ফুলের ব্যবসায়ীদের। গত সপ্তাহেই খুলে গিয়েছে ফুলের পাইকারি বাজার। এমনকী পাড়ায় পাড়ায় ফুল নিয়ে বসতে পারছেন বিক্রেতারা। নবান্নে লকডাউনেও ফুল বিক্রেতাদের এই ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য়ে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ১২, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ জন.
মমতা বলেছেন, দুধচাষিদের মতো ফুল নষ্ট হোক সরকার তা চায় না। তাই ফুলের ব্যবসায়ীদের ও এবার পণ্য পরিষেবার মধ্য়ে দেওয়া হল। এখানেই শেষ নয়। মুখ্য়মন্ত্রীর ছাড়পত্রের তালিকায় রয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরাও। আপাতত তারাও একসঙ্গে সর্বোচ্চ সাতজন ঘরের ভিতর বিড়ি বাঁধতে পারবেন। কিন্তু এই সব কিছুই তাদের সোশ্য়াল ডিস্ট্য়ান্সিং মেনে চলতে হবে।
কেন্দ্র কিট পাঠায়নি তাই র্যাপিড টেস্টে দেরি, জানালেন মুখ্যসচিব..
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মুখ্য়মন্ত্রীর এই ছাড়পত্রের ফলে ভালো করতে গিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে। সোশ্য়াল ডিস্ট্য়ান্সিং না মানায় কার শরীরে মারণ রোগ বাসা বাধতে চলেছে তা কেউই বলতে পারবেন না। ইতিমধ্য়েই মাছ বাজারের এই ছবি নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য়বাসীকে।