করোনা-পজ়িটিভের ক্ষেত্রে অন্ত্যেষ্টি কী ভাবে হবে, এ নিয়ে আইসিএমআর-র স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে এদিকে করোনা-আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টি হয়ে গেল 'নন-কোভিড' দেহ হিসেবে একই সঙ্গে আরও একটি হাসপাতালের দুই জন চিকিৎসক-সহ ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী চলে গেলেন বিশ্রামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য পাল্টা দাবি, পরিবারের চাপেই ওই বৃদ্ধার দেহ ছেড়ে দেন তাঁরা
দেহ সৎকারের পর করোনা রিপোর্ট এল পজ়িটিভ। করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টি হয়ে গেল 'নন-কোভিড' দেহ হিসেবে। দেহ সৎকারের পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ জানার পরে, শ্মশান যাত্রী সহ পরিবারের সকলেই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।এদিকে যার জন্য় মৃতার পরিবারের পাশাপাশি কোয়রান্টিনের আওতায় চলে এলেন শ্মশানযাত্রীরাও। একই সঙ্গে আরও একটি হাসপাতালের দুই জন চিকিৎসক সহ ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী চলে গেলেন কোয়ারেন্টিনে।
সূত্রের খবর, বছর পচাশির ওই বৃদ্ধা থাকতেন মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে। মঙ্গলবার সকালে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বৃদ্ধার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে,সেই রিপোর্ট আসার আগেই বৃদ্ধার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিমতলা মহাশ্মশানে মায়ের দেহের সৎকার করেন দুই ছেলে। মৃতার পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের কয়েক জনও শ্মশানে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বৃদ্ধার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ জানার পরে, শ্মশান যাত্রী সহ পরিবারের সকলেই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বুধবার সকালে মৃতার দুই ছেলে, বৌমা এবং এক নাতনিকে পরীক্ষা করানোর জন্য নিউ টাউনের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে, কোভিড-পজ়িটিভ কারও অন্ত্যেষ্টি কী ভাবে সম্পন্ন হবে, এ নিয়ে আইসিএমআর-এর স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও সেটি অনুসরণ করেই কাজ করছে। তবে এ ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসার আগেই কীকরে পরিবারের হাতে বৃদ্ধার দেহ তুলে দেওয়া হল, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃতার ছেলের দাবি, 'আমরা দেহ নিতে চাইনি। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তারবাবু বললেন, নিয়ম রক্ষার জন্য করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা দেহ নিলে কোনও সমস্যা নেই।' পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য পাল্টা দাবি, পরিজনদের চাপেই বৃদ্ধার দেহ ছেড়ে দেন তাঁরা।