৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের শুক্রবার কলকাতার বুকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। লেলিহান শিখা এবার লেলিন সরণির একটি ফ্যানের গোডাউনে। শুক্রবার দুপুরে আচমকাই আগুন লেগে গিয়েছে জ্য়োতি সিনেমা হল লাগোয়া ওই বিল্ডিংয়ে। জানা গিয়ে ওই বহুতলে একটি পাখার গোডাউন রয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেতেই দ্রুত এসে উপস্থিত হয় দমকলের ৯ টি ইঞ্জিন।
আরও পড়ুন, 'EVM-র পদ্ম স্টিকার বদলে ঘাসফুলের প্রতীক', মমতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ শুভেন্দুর
উল্লেখ্য, বুধবারেই কয়লাঘাট ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার পর ফের স্ট্য়ান্ড রোডের বহুতলে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে তার ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের বুধবারের পর শুক্রবার অগ্নিকাণ্ড এবার লেলিন সরণির ওই ফ্যানের গোডাউনে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৯টি ইঞ্জিন। দ্রুত গতিতে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন দমকল কর্মীরা। তবে ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এক দমকলকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ আচমকাই ওই পাখার গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। মুহূর্তে খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু দমকল আসার আগেই আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
এদিকে, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আশাঙ্কায় তীব্র গতিতে কাজ করছেন দমকলকর্মীরা। বিল্ডিং সংলগ্ন দোকানগুলি খালি করে দেওয়ায় কাজ চলছে। প্রায় ২০০০ হাজার ব্যবস্য়ীর দোকান রয়েছে ওই এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা। ব্যবহার করা হচ্ছে হাইড্রলিক ল্যাডার। বিল্ডিংয়ের কাঁচ ভেঙে আগুনের উৎস স্থল খোজ চলছে।
আরও পড়ুন, রাজ্যে রেকর্ড সংক্রমণ, দ্বিতীয় দফা ভোটের দিনে করোনায় আক্রান্ত ১৩০০ ছুঁইছুঁই
তবে আগুন যাতে না ছড়ায় সেজন্য দমকলকর্মীরা দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। কারণ আগুন ছড়ালে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। ইতিমধ্যে বাড়িটি পুরোটাই খালি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেখানে দুটি অফিস থাকলেও সেগুলি বন্ধ থাকায় বিপদও অনেকটাই কম। আপাতত বাড়িটির জানলার কাচ ভেঙে সেখান থেকে ভিতরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। যদিও দমকল প্রায় ১ ঘন্টা প্রায় দেরিতে এসেছে বলে অভিযোগ ব্য়বসায়ীদের।
আরও পড়ুন, 'নন্দীগ্রামে আমিই জিতব', শাহ-র তোপ গিলে উত্তরবঙ্গে বিস্ফোরক মমতা
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রেলের কয়লাঘাট ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। মৃত্যু হয় একাধিক ব্যক্তির। বুধবার সকাল পৌনে আটটা বাগাত ফের আগুন লাগল কয়লাঘাট ভবনের ৫০০ মিটার দূরে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বহুতলে। আগুন এতটাই ওঠে যে প্রথমে বহুতলে ঢুকতে পারছিল না দমকল বাহিনী। এরপর আশেপাশের বাড়ি থেকে চলে আগুন নেভানোর কাজ। পাশপাশি চলতি মাসেই আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের পাশের বস্তি। দমকলের ৭ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও সেদিন শেষ রক্ষা হয়নি। অধিকাংশ ঝুপড়ি পুড়ে শেষ। শুক্রবার দুপুরে ফের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হল কলকাতা।