প্যারাসিটামল বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতার নাম-ঠিকানা প্রশাসনকে পাঠানো বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশ নবান্নর

পুজোর মুখে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গি। গত এক সপ্তাহে হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৬ জন। মুর্শিদাবাদে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৫ জন,হুলিতে ৪৯৭। কলকাতায় গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৭ জন। এছাড়া ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বাকুড়াতেও। 

Ishanee Dhar | Published : Sep 23, 2022 4:11 PM IST

ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। নাম ঠিকানা না জেনে দেওয়া যাবে না প্যারাসিটামল। জ্বরের কারণে কেউ প্যারাসিটামল কিনতে এলে তাঁর নাম, ঠিকানা জানাতে হবে প্রশাসনকে। ওষুধ বিক্রেতাদের এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হল নবান্নের তরফ থেকে। এমনকী বাতিল করা হয়েছে ডেঙ্গি মোকাবিলায় যুক্ত কর্মীদের পুজোর ছুটিও। মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়িকে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক করল প্রশাসন। 

পুজোর মুখে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গি। গত এক সপ্তাহে হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৬ জন। মুর্শিদাবাদে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৫ জন,হুলিতে ৪৯৭। কলকাতায় গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৭ জন। এছাড়া ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বাকুড়াতেও। 

সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের গোড়ায় সংক্রমণের প্রকোপ রীতিমত চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার ছুঁইছুঁই। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই সংখ্যা পৌঁছয় আট হাজারে। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৭ থেকে ২০২১ -এই পাঁচ বছরে (২০১৯ বাদ দিলে) এবছরই ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রকোপ সব থেকে বেশি। 

আরও পড়ুন - ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, পুজোর আগে কি আরও ভয়াবহ হবে পরিস্থিতি?

সংক্রমণ হার যে ভাবে বাড়চ্ছে তাতে ফের ২০১৯ সালের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে মশা বাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে পৌঁছেছিল। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩৬তম সপ্তাহ (১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৭৪৫ জন। এবছরও সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে  ১৮৫৪-এ। গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রীতিমত উদ্বেগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। 

আরও পড়ুন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, জেনে নিন কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই রোগের সঙ্গে

শুধু কলকাতা নয় মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে জেলাগুলিতেও। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে,৩৬তম সপ্তাহে ২০১৭ সালে আক্রান্ত হন ৮৪৪ জন এবং ২০১৮ সালে ১৩০৪ জন। ২০২০ সালে অতিমারির সময় বেশ খানিকটা কমেছিল মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ। ২০২০ সালে ৮৬ জন ও ২০২১ সালে ১৪১ জন আক্রান্ত হন।  শেষ দুই বছরের মোট আক্রান্তের তুলনায় আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে চলতি বছরের ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর। 

আরও পড়ুন - রবিবারের স্পেশ্যাল মেনুতে থাক দই কাবাব, জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই পদ

Share this article
click me!