পাক গোয়েন্দাদের নির্দেশ, ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে জওয়ানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতো জঙ্গি মেয়ে

  • গোয়েন্দা জেরায় বেরিয়ে আসছে একের পর এক তথ্য়
  •  পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে মানছিল তানিয়া 
  • ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতো এই লস্কর লিঙ্ক ওম্যান
  •  এনআইএ-র চার্জশিটের পর উঠে এসেছে এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য

Asianet News Bangla | Published : Sep 12, 2020 8:05 PM IST / Updated: Sep 13 2020, 01:40 AM IST

গোয়েন্দা জেরায় বেরিয়ে আসছে একের পর এক তথ্য়। সূত্রের খবর, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতো লস্কর লিঙ্ক ওম্যান তানিয়া। এনআইএ-র চার্জশিটের পর উঠে এসেছে এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২১শের আগে ২২শেই কলকাতায় মোহন ভাগবত,রাজ্য়ে থাকবেন দু'দিন

নিজে সেভাবে যাননি রাজ্য়ের বাইরে। অথচ মুসলিম বিশ্বে তার যোগাযোগ দেখে হতবাক হয়েছেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিকেটিভ এজেন্সির আধিকারিকরা। একাধারে পাকিস্তান,ইরান, ইরাক,সৌদি আরবে অবাধ নেটওয়ার্ক তার। বাদুড়িয়ার 'জঙ্গি যুবতী' এখন গোয়েন্দাদের চিন্তার কারণ।  মাত্র ২১ বছর বয়সেই ঢুকে গিয়েছিল সন্ত্রাসের বিষ। যার জেরে রাজ্য়ে বসে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর লিঙ্কম্যানের কাজ করছিল  বাদুড়িয়ার যুবতী। অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি  টাকা লেনদেন  হওয়াতেই প্রথমে সন্দেহ হয় কলকাতা পুলিশের। এরপর যুবতীর ওপর নজর রাখা শুরু করে স্পেশ্য়াল টাস্ক ফোর্স। তারপরই বেরিয়ে আসে জঙ্গি যোগ।

রাজনীতির শিকার রিয়া চক্রবর্তী, বাংলার মেয়ের পাশে কংগ্রেস

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর যোগ রয়েছে কলেজ ছাত্রীর। নতুন লিঙ্কম্য়ান তৈরি করতে ৩০টিরও বেশি গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল তানিয়া পারভিন। মূলত, হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকের মাধ্যমে জিহাদি বার্তা ছড়াচ্ছিল এই কলেজ ছাত্রী। বৃহস্পতিবারই কলকাতা এসটিএফ-এর জালে ধরা পড়েছিল এই যুবতী। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই তাকে জেরা  করে আরও এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে,অভিযুক্ত যুবতী তানিয়া পারভিনের সঙ্গে একই কলেজে পড়াশোনা করে প্রথম বর্ষের ছাত্র মনাজিরুল ইসলাম মন্ডল। 

পুলিশের চাকরি ছেড়ে সবজি বিক্রি করুন, ওসি-আইসি-দের সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের.

গত মার্চ মাসে পুলিশের জালে ধরা পড়ে বাংলার ছাত্রী তানিয়া পারভিন।  উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা এই ছাত্রীকে ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁদের কাছ থেকে দেশের স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তানিয়ার লক্ষ্য। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি কাজ শুরু করেছিল সে। মূলত, এই কাজ করতে মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ হয়ে পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিল তানিয়া। সেখান থেকে প্রথমে নাম বদলে ফের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল তার।  

ভোটের আগে ভুয়ো খবর, চিন্তায় 'ঘুম ছুটেছে' মমতার

চলতি বছরের মার্চ মাসেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স গ্রেফতার করে তানিয়াকে।  পরবর্তীকালে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জানা গিয়েছে কমবয়সীদের মগজ ধোলাই শুরু করেছিল ওই ছাত্রী। তার সঙ্গে জুড়ে যায় একই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মনাজিরুল ইসলাম মন্ডল। খবর জানতে পেরেই দেগঙ্গা থানার হাঁদিপুর গ্রাম থেকে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্রের বাবা রুহুল আমিন ইসলাম স্থানীয় এক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। 

কলকাতার সেরা ৭ খাবার, না খেলে নষ্ট জীবন

ধৃত ছাত্রের কাছ থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বেশ কয়েকটি মোবাইল ও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান সহ ফেসবুক গ্রুপে একাধিকবার যোগাযোগ করে ওই ছাত্র। রাজ্য়ে  ধর্মীয় উস্কানিমূলক কাজ ও যুবক-যুবতীর দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করাই ছিল তার কাজ। রাজ্য়ে বিরোধীরা বার বার বলে এসেছে, মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি সংগঠনগুলি কমবয়সী পড়ুয়াদের মগজ ধোলাই করে। ধর্মীয় উস্কানিকে কাজে লাগিয়ে দেশ বিরোধী শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গিরা। এবার তার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেল।

"

Share this article
click me!