করোনা আবহের মধ্য়েই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত কয়েকশো নার্স চাকরি ছেড়ে ইতিমধ্যেই মনিপুরে নিজেদের বাড়ি চলে গিয়েছেন। যার জেরে আশঙ্কার মুখে কলকাতার বহু বেসরকারি হাসপাতাল। আর এবার তাঁরা এই দুঃসময়ে বাংলাকে ছেড়ে যাওয়ার ব্য়াক্ষা দিয়ে অভিযোগ করল মণিপুরী নার্সদের সংগঠন 'মণিপুরীস ইন কলকাতা' বা এমআইকে।
জানা গিয়েছে, অমানবিকতার শিকার হয়েই বাংলা ছেড়েছেন মণিপুরী নার্সরা।করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক নার্সই বেতন পাননি। ফলে বাড়ি ভাড়া থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে অনেকেই বিপদে পড়েছিলেন। অনেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খাদ্যও পাননি। মণিপুরী নার্সরা যেহেতু এ রাজ্যের রেশন কার্ড হোল্ডার নন, তাই দুবেলার খাদ্য জোগাতে তাদের চরম সংকটে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এছাড়াও অনেক হাসপাতালে নার্সরা কাজ করার সময় ন্যূনতম পিপিইউ ও মাস্কটুকুও পাননি। একাধিকবার অভিযোগ জানালেও সমাধান করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা সংকটে নার্সদের রাজ্য ছাড়া নিয়ে যখন চারিদিকে হইচই শুরু হয়েছে ঠিক সেই সময়ই এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল মণিপুরী নার্সদের সংগঠন 'মণিপুরীস ইন কলকাতা' বা এমআইকে। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতির শিকার হয়েই তাঁরা কলকাতা ছেড়েছেন। মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা বা এ রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবায় নিজেদের সবটুকু দিয়েই কাজ করেন মণিপুরী নার্সরা।
উল্লেখ্য়, এরাজ্যে অন্তত ১২০০ জন মণিপুরী নার্স দিবারাত্র মানুষের সেবায় নিয়োজিত। কাজের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা শুধু শহর বা দেশ নয় গোটা বিশ্বে স্বীকৃত। কিন্তু না চাইলেও বেশ কিছু চরম পরিস্থিতির শিকার হয়েই ১২০০ জন নার্সের মধ্যে ৩০০ জন শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিষয়টি এমনভাবে দেখানো হয়েছে যে এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবাকে প্রাধান্য না দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন মনিপুরী নার্সরা।
কোভিড হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্য়ুতেও পরিবার চাইলে সৎকার করবে কলকাতা পৌরসভা, জানালেন ফিরহাদ
কোভিড পজিটিভ হয়ে মৃত্য়ু প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ হরিশঙ্কর বাসুদেবনের
রোগী ফেলে পালাতে পারল না অ্যাম্বুল্যান্স, পিপিই পরা স্বাস্থ্য়কর্মীদেরকে তীব্র প্রতিবাদ নাকতলাবাসীর