দশমীতেও আবার বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ল কলকাতায়। ফের জ্বালানীর দাম বেড়ে মধ্যপিত্তদের নাভিশ্বাস পড়ার জোগাড়। কোভিড পরিস্থিতিতে অনেকেই ভীড় এড়াতে নিজস্ব গাড়ি যাতায়াত করছে। কিন্তু বারবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে পুজোয় অসুবিধার মুখে সাধারন মানুষ।
দশমীতেও (Dashami) আবার বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol and Diesel Price hike)দাম বাড়ল কলকাতায়। ফের জ্বালানীর দাম বেড়ে মধ্যপিত্তদের নাভিশ্বাস পড়ার জোগাড়। (Covid Situation) কোভিড পরিস্থিতিতে অনেকেই ভীড় এড়াতে নিজস্ব গাড়ি যাতায়াত করছে। কিন্তু বারবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে পুজোয় অসুবিধার মুখে সাধারন মানুষ।
আরও পড়ুন, Durga Puja: আজ দশমীতে শোভাবাজার রাজবাড়িতে বিষাদের সুর, বিসর্জন নিয়ে কড়া নজরদারি গঙ্গায়
শুক্রবার ফের জ্বালানীর দাম বাড়ল কলকাতায়। বৃহস্পতিবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম ৩৫ করে বেড়েছিল। শুক্রবার ফের কলকাতায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১০৫ টাকা ৭৬ পয়সা এবং ৯৬ টাকা ৯৮ পয়সা। ইন্ডিয়াল ওয়েলের মতে, দাম বৃদ্ধির পর দিল্লিতে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম হয়েছে ১০৫ টাকা ১৪ পয়সা এবং ডিজেলের দাম রয়েছে ৯৩ টাকা ৮৭ পয়সা। এমনিতেই এটা পুজোর মাস, খরচের উপর বাড়তি চাপ বাঙালির। তার উপর জ্বালানীর দাম বেড়ে মধ্যপিত্তদের নাভিশ্বাস পড়ার জোগাড়। মাসের প্রথম দশ দিনে পেট্রোল ২ টাকা ৮০ পয়সা এবং ডিজেল ৩ টাকা ৩০ পয়সা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। মুম্বইয়ে যথাক্রমে জ্বালানির দাম হয়েছে ১১১ টাকা ০৯ পয়সা এবং ডিজেল ১০১ টাকা ৭৮ পয়সা। চেন্নাইয়ে এক লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম হয়েছে ১০২ টাকা ৪০ পয়সা এবং ৯৮ টাকা ২৬ পয়সা।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ইস্যুকেই ঢাল বানিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নেমেছিল তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামেরা। জ্বালানীর লাগামছাড়াভাবে বাড়তেই সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম আরও বেশি ইলেকট্রিক গাড়ি শহরে আনবেন বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, 'ইলেকট্রিক গাড়ি আমাদের কাছে ভবিষ্যত।মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আমি ইলেকট্রিক স্কুটার চালিয়ে আমি নবান্নে নিয়ে গেছিলাম ।মুখ্যমন্ত্রী নিজে পলিউশন ব্যাপারে অত্যন্ত চিন্তিত।তেলের গাড়ি গুলোকে কমানো এবং ইলেকট্রিক গাড়ি বাড়ানোর দিকে একটা উদ্যেগ আমাদের সরকার নিয়েছে।তা ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বলবো একটু দাম কমিয়ে যাতে মানুষ কিনতে পারে এরকম ব্যবস্থা করতে। সারা কলকাতা জুড়ে আরও বেশি করে চার্জিং পয়েন্ট করবো। সিইএসসি-কেও চার্জ কমানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। পেট্রোল ডিজেলের থেকে অনেক কম হবে।যার ফলে জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং আস্তে আস্তে ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে কনভার্ড হবে। ২০৩০ এর মধ্যে কলকাতায় ২০০০ ইলেকট্রিক বাস চলবে ওখানে আর কোনও তেলের বাস চলবে না।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে