প্রয়াত অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শোকস্তব্ধ দুই বাংলা

  • আনিসুজ্জামানের জন্ম বসিরহাটে, শিক্ষাজীবন শুরু কলকাতায় 
  • তিনি ছিলেন একাধারে অধ্য়াপক অপরদিকে বিশিষ্ট লেখক 
  • তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী 
  • উল্লেখ্য়,  তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে 
     

বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রাণ হারালেন।  চিরতরে চলে যাবার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি প্রগতি আন্দোলনে যিনি ছিলেন সামনের সারিতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।  গুরুতর অসুস্থতার কারণে ২৭ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতে তাঁর করোনা পরীক্ষার ফলও পজিটিভ এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। 

আরও পড়ুন, প্রয়াত সাহিত্যিক দেবেশ রায়, রয়ে গেল তিস্তাপারের বৃত্তান্ত
 
আনিসুজ্জামানের জন্ম হয়েছিল ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত বাংলার বসিরহাটে। শিক্ষাজীবন শুরু কলকাতার পার্ক সার্কাস হাইস্কুলে। পরে তাঁর পরিবার তৎকালীন পূর্ববঙ্গে চলে এলে খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পর তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বি‌শ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯-এ পাকিস্তান-বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয় ভাবে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেন আনিসুজ্জামান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২-এ জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য হন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তাঁর গবেষণা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।  

Latest Videos

আরও পড়ুন, ধেয়ে আসছে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় '‌আমফান', গাঙ্গেয় উপকূলের জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা

অপরদিকে,  অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চিরতরে চলে যাবার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি প্রগতি আন্দোলনে ছিলেন সামনের সারিতে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের আত্মজীবনী 'কাল নিরবধি'তে নিজের জীবন ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির বিশাল ক্যানভাসে তিনি বিস্তারিত লিখে গিয়েছেন সেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার লড়াইয়ের ইতিহাস। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল-মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য, মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র, স্বরূপের সন্ধানে, আঠারো শতকের বাংলা চিঠি,  আমার একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পর । তিনি ছিলেন ঢাকা বাংলা একাডেমির সভাপতি।  ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার একুশে পদক এবং  ২০১৫-য় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়। ১৯৯৩ ও ২০১৭-এ দুই বার আনন্দ পুরস্কার পান আনিসুজ্জামান। সাহিত্যে ও শিক্ষায় অবদানের জন্য পেয়েছেন পদ্মভূষণ। পাশাপাশি  বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি লিটে ভূষিত অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। 

 

 

কোভিড হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্য়ুতেও পরিবার চাইলে সৎকার করবে কলকাতা পৌরসভা, জানালেন ফিরহাদ

করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারালেন এবার রাজ্যের এক আইনজীবী, এদিকে আইসোলেশনে তাঁর স্ত্রী

কোভিড পজিটিভ হয়ে মৃত্য়ু প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ হরিশঙ্কর বাসুদেবনের

 

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News