ডেঙ্গুতে মৃত্যু শহরের দুই ক্ষুদের, জ্বরের কথা অস্বীকার পরিবারের

  • রাজ্যে করোনার আতঙ্কের মধ্যেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ 
  • ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শহরে প্রাণ হারাল আরও দুই জন 
  •   ফয়জানের দাদা জানিয়েছেন, ওই বালকের জ্বর ছিল না 
  •   আশঙ্কা,'করোনা আবহে জ্বর গোপন করছে অনেকেই' 

Ritam Talukder | Published : Jul 29, 2020 5:47 AM IST / Updated: Jul 29 2020, 11:28 AM IST

রাজ্যে করোনার আতঙ্কের মধ্যেই  ডেঙ্গুর সংক্রমণ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শহরে প্রাণ হারাল আরও দুই জন। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার  বছর ১২-র এক বালক এবং বছর ১৭ -র এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য,  করোনা-ডেঙ্গুর জোড়া সংক্রমণে জুলাই শুরুতে প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক প্রৌঢ়।

আরও পড়ুন, করোনায় এসএসকেএমের নার্সের মৃত্যু , আক্রান্ত স্বামীও, একাকী বছর এগারোর সন্তান

তিলজলার বাসিন্দা মৃত বালকের নাম ফয়জান আহমেদ। সোমবার রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে পার্ক সার্কাসের এক শিশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়েছে।  শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, সঙ্কটজনক অবস্থাতেই ফয়জানকে আনা হয়েছিল। ডেঙ্গির উপসর্গ থাকায় রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। তার এনএস-১ নেগেটিভ এলেও আইজিএম, আইজিজি পজিটিভ এসেছে। এ দিন মৃতের বাবা চুপ থেকেছেন। ফয়জানের এক দাদা শুধু জানিয়েছেন, ওই বালকের জ্বর ছিল না। 

 

  অপরদিকে, হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। বছর ১৭-র ওই ছাত্রের নাম সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়ন্তনের পরিবার সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার তার জ্বর আসে।  পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে শেষে মধ্য হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত শনিবার ভর্তি করা হয় ওই কিশোরকে। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, তার ডেঙ্গি হয়েছে। এরপরে রবিবার সকালে সায়ন্তনের মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে তার মৃত্যু ডেঙ্গিতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, শহরে পারদ নামলেও আদ্রতা বেড়ে অস্বস্তি চরমে, বুধবার অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে


প্রসঙ্গত,   করোনা-ডেঙ্গুর জোড়া সংক্রমণে সম্প্রতি প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক প্রৌঢ়। মৃত্যুর পরেই তাঁর করোনা এবং ডেঙ্গুর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। লতি মাসের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কলকাতার অশোকনগরের বাসিন্দা, ৬৪ বছরের প্রৌঢ় বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্ট ছিল তাঁর। করোনার উপসর্গ প্রকট হওয়ায় তাঁকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৪ জুলাই। সেখানে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রক্তের ও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ি পাঠানো হয়। পরের দিন, ৫ জুলাই বাড়িতেই হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের মতে, জোড়া সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথমবার ঘটেছে। তবে এবার  ফয়াজানের ঘটনার পর করোনা পরিস্থিতিতে জ্বরের উপসর্গের কথা যে অনেকেই গোপন করছেন, সেটা স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছেন পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ। এ ক্ষেত্রেও জ্বর গোপন করার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।

 

 

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

  মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

  অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস

কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের

Share this article
click me!