সল্টলেকের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে আরও এক বাসিন্দার করোনা উপসর্গ ধরা পড়েছে। উনত্রিশ বছর বয়সি ওই যুবক এখন এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে এখবর জানতেই এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই সমস্ত গলির মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি, ওই এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালাচ্ছে পুর প্রশাসন।
আরও পড়ুন, করোনার কোপ এবারের দুর্গাপুজোর বাজেটেও, বড়সড় কাটছাঁটের কথা জানালেন ক্লাবকর্তারা
পরিবার সূত্রের খবর, ওই যুবক কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে এক চিকিৎসকের কাছেও গিয়েছিলেন। ওই চিকিৎসক যুবককে ওষুধ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন দিন পরও জ্বর না কমায় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওই যুবককে প্রথমে ইএসআই হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এবং পরে সেখান থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আইডি থেকে তাঁকে এম আর বাঙ্গুরে পাঠানো হয়। এই মুহূর্তে সে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন, 'পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমার আগেই লকডাউন উঠুক', করোনা মুক্তির প্রার্থনায় টালিগঞ্জ মঠে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা
অপরদিকে, এই ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে পুর প্রশাসনের। কারণ, সল্টলেকের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। তার উপরে দিন দুই আগেই বিধাননগরের তিন নম্বর সেক্টর এলাকায় একটি ব্লকের এক বাসিন্দাকে করোনার উপসর্গ-সহ ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সেই ব্যক্তির রিপোর্ট করোনা পজ়িটিভ এসেছে। তাই ইতিমধ্যে সেই বাড়ির আশপাশের কিছু রাস্তা আটকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালাচ্ছে পুরসভা। উল্লেখ্য়, স্থানীয় পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের আপাতত বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুুন, কেন্দ্র বলছে ৫৭১, রাজ্য়ের হিসেবে বাংলায় করোনা অ্যাকটিভ ৪২৩
মল্লিক বাজারের নিউরো হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ২ শীর্ষ কর্তা, সংক্রমণের আশঙ্কায় চূড়ান্ত সতর্কতা
এবার বেসরকারিতেও করোনা চিকিৎসায় মিলবে বিনামূল্য়ের পরিষেবা, হাসপাতালের খরচও দেবে রাজ্য সরকার