রসনা তৃপ্তিতেও অভিনবত্বের ছোঁয়া, জানুন খাদ্যরসিক রবীন্দ্রনাথের বিশেষ গুণের কথা

  • সাহিত্যের বাইরেও তার অন্য এক পরিচিতি রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
  • ভোজনপ্রিয় বাঙালির তকমাও ছিল কবিগুরুর
  • দেশ-বিদেশের রান্নার স্বাদ ঠাকুর বাড়িতেও এনেছিলেন তিনি
  • বরাবরই কষানো রান্না তার পছন্দের তালিকায় ছিল

Riya Das | Published : May 8, 2020 6:26 AM IST / Updated: May 08 2020, 11:58 AM IST

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির মননে চির উজ্জ্বলতম এক ব্যক্তিত্ব। আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯ তম জন্মবার্ষিকী। সারা বিশ্বে তিনি বিশ্বকবি হিসেবে পরিচিতি হলেও সাহিত্যের বাইরেও তার অন্য এক পরিচিতি রয়েছে। যা অনেকেরই অজানা। আর সেই বিশেষ জায়গাটি হল রসনা তৃপ্তি। বরাবরই তিনি খাদ্যরসিক ছিলেন। জীবনের বেশিরভাগ সময়টাকে দেশে -বিদেশে কেটেছে তার। সেই সময়টাতে বিশেষ বিশেষ খাবারের প্রতি তার আগ্রহ জন্মেছিল।

আরও পড়ুন-মহামারীতে মৃত্যু দেখেছিল ঠাকুর পরিবারও, জানুন সেই মৃত্যযন্ত্রণার কাহিনি...

আরও পড়ুন-রবীন্দ্র স্মরণে বিশেষ নিবেদন অভিনেত্রী মনামীর, গদ্যকবিতায় মন কাড়লেন নেটিজেনদের...

জীবনের প্রথম দেশভ্রমণ শুরু হয়েছিল বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে। ব্যস তারপর থেকেই অবিরাম গতিতে চলতে থাকে তার দেশভ্রমণ। দেশ-বিদেশের রান্নার স্বাদ ঠাকুর বাড়িতেও এনেছিলেন তিনি। তার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীও রান্নায় পটু ছিলেন। দুইয়ে দুইয়ে চার হতে বেশি সময় লাগেনি তার। ভোজনপ্রিয় বাঙালির তকমাও ছিল কবিগুরুর। সকলকে নেমন্তন্ন করে খাওয়াতেও ভীষণই ভালবাসতেন রবীন্দ্রনাথ।

 

 

সারাবছরই প্রায় খাওয়া-দাওয়া লেগে থাকত ঠাকুর পরিবারে। তবে তার  মধ্যে থাকত অভিনবত্ব, বিশেষত্ব। খাবারের প্রতিটি পদ নিজেই নিবার্চন করতেন রবীন্দ্রনাথ। রান্নার পদ্ধতিও নিজে বলে দিতেন মৃণালিনীকে। খাবারের নামকরণ নিয়েও বেশ খুঁতখুঁতে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কোনও খাবারের  নাম পছন্দ না হলে নিজেই তার নামকরণ করতেন। একবার নিজেই একটি মিষ্টির নামকরণ করেছিলেন  রবীন্দ্রনাথ। এলোঝেলো মিষ্টির নাম বদলে রেখেছিলেন পরিবদ্ধ। 

 

 

বরাবরই কষানো রান্না তার পছন্দের তালিকায় ছিল। তার পছন্দের খাবারের তালিকার মধ্যে ছিল পাঁঠার মাংস, কাঁচা ইলিশের ঝোল, নারকেল চিংড়ি, চিতল মাছ, চালতা দিয়ে মুগ ডাল, কাবাব ইত্যাদি। পানীয় নিয়ে তার সৌখিনতা ছিল প্রবল। চা নিয়েও ভীষণ সৌখিন ছিলেন কবিগুরু। জাপানের চা ছিল তার পছন্দের তালিকায়। তাই যখনই জাপান যেতেন অবশ্যই চা নিয়ে আসতেন।

Share this article
click me!