স্তনদুগ্ধ নিয়ে সমাজে বিভিন্ন রকমের ট্যাবু রয়েছে। সেই সমস্ত ট্যাবুকে ভেঙে এক নতুন পথের দিশারী হয়েছেন মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রিয়াধ। স্তনদুগ্ধ থেকে জুয়েলারি তৈরি করে নজির গড়েছেন এই দম্পত্তি।
মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ পাওয়া যায় সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পানের মধ্যে দিয়ে| সদ্যজাতকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর পরও অনেক সময় একস্ট্রা ব্রেস্ট মিল্ক পাম্প করে ফেলে দেওয়া হয়| কিন্তু এক দম্পত্তি মাতৃদুগ্ধের মত পবিত্র জিনিস নষ্ট করার হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছেন| মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে একজন মায়ের যে ইমোশন জড়িয়ে থাকে সেটাকে রক্ষা করাই সেই দম্পত্তির প্রধান উদ্দেশ্য| আর নিজেদের সেই স্বপ্নকে পূরণ করতে ব্রেস্ট মিল্ক থেকে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের জুয়েলারি| উল্লেখ্য, স্তনদুগ্ধ নিয়ে সমাজে বিভিন্ন রকমের ট্যাবু রয়েছে| সেই সমস্ত ট্যাবুকে ভেঙে এক নতুন পথের দিশারী হয়েছেন মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রিয়াধ।
স্তনদুগ্ধের অপচয় কী করে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই ভাবনা চিন্তা করছিলেন সাফিয়া রিয়াধ ও তাঁর স্বামী আদম রিয়াধ। তাছাড়া স্তন্যপানের মাধ্যমে মা আর সন্তানের মধ্যে যে সুন্দর একটা মেলবন্ধন গড়ে ওঠে, সেই মুহূর্তগুলোকে কী ভাবে স্মৃতির খাতায় তুলে রাখা যায় সেখান থেকেই এই ইউনিক ভাবনার সুত্রপাত| আর বলাই বাহুল্য, ব্রেস্ট মিল্ক থেকে তৈরি করা হচ্ছে দামী পাথর৷ আর সেই পাথর থেকে তৈরি হচ্ছে লকেট থেকে কানের দুল ও আংটির মত জুয়েলারি| সেগুলো সকলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে| উল্লেখ্য, ব্রেস্ট মিল্ক বা স্তনদুগ্ধ থেকে তৈরি জুয়েলারি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে চলেছে৷
আরও পড়ুন- এপ্রিল ফুলে মজা করুন বন্ধুদের সঙ্গে, রইল সেরা ১০ প্রাঙ্ক আইডিয়া
প্রাথমিক ভাবে এই দম্পত্তির ভাবনাটা হয়েছিল শখের বশেই। তবে দিন যত গড়িয়েছে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের সুযোগ পেয়েছেন আদম ও সাফিয়া| মিসেস সাফিয়া রিয়াধ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে মাতৃদুগ্ধ পান করানো নিয়ে যে ট্যাবু ছিল সেটা অনেকটাই দূর হয়েছে| এখন লক্ষ একটাই যে, কী করে মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণ করে তার থেকে মেমেন্টো তৈরি করা যায়| আরও একটা বিষয় বিশেষভাবে নজর রাখছেন যে মেমেন্টো তৈরির পরও যাতে ব্রেস্ট মিল্ক বা স্তনদুগ্ধের রঙের কোনও পরিবর্তন না হয়| আপাতত এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে|
আরও পড়ুন- মেয়েদের চুলে ভুলেও হাত না, অজান্তেই শরীরে জাগবে কামনা