মেয়েদের চুলে ভুলেও হাত না, অজান্তেই শরীরে জাগবে কামনা

শিক্ষাগত দিক থেকে আমরা অনেকটা এগিয়ে গেলেও বেশ কিছু প্রাচান প্রথা আজও আমাদের মনে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে| এই যেমন ধরুন, আমরা বিশেষ করে মেয়েরা অনেকেই চুলে ডান হাত বা বা হাত দেওয়ার বিষয়ে একটু খুঁতখুঁত করে থাকি| আবার কেউ  যদি চুলে হাত দেয় অনেকের আবার গোসাও হয়| উল্লেখ্য, মেয়েদের চুলে ছেলেদের হাত দেওয়া কিন্তু আজও গ্রামাঞ্চলে নিষিদ্ধ| প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই নিয়মের অন্যথা কিন্তু আজও হয়নি|

কোন আত্মীয়স্বদন হোক বা অন্য কেও, গ্রামে যদি মেয়েদের চুলে কও হাত দিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু সেটাকে মোটেই ভাল চোখে দেখা হয় না| যদিও এটাকে কুসংস্কারের আওতাতে ফেলেই গ্রামের লোকজন আদ্যিকাল থেকে এই প্রথা মেনে চলেন|  কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই নিয়মের নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করেছেন| আর সেখানেই উঠে এসেছে আসল কারণ| জানা গেছে মেয়েদের চুলে হাত দিলে নাকি গোটা শরীর শিহরিত হয়| মনে জাগে কামনার নেশা|

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে মেয়েদের চুলের গোড়ায় থাকে সেক্স গ্রন্থি| তাই পুরুষ মানুষের হাতের ছোঁয়ায় গোটা শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে| শরীরে জাগে কামনার নেশা| সেটা তো মোটেই কাম্য নয়| সম্ভবত সেই কারনেই আদ্যিকাল থেকে গ্রামীন এলাকার যে নিয়ম মেয়েদের চুলে পুরুষের হাত না লাগানো সেই নিয়ম আজও একপ্রকার জারি রয়েছে| গ্রামের মানুষ অবশ্য এটিকে কুসংস্কারের আওতায় ফেলে নিজেদের মত করে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেছেন| তাঁদের এই বিশ্বাস দেখেই এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা হয়|  

প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রথাটি এখনো সমাদৃত হয়ে আসছে| একটু খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা অনেক সময় সিনেমার দৃশ্যে বা টিভির ধারাবাহিকে যৌনতার দৃশ্য দেখানোর সময় নায়িকার চুল মুঠো করে ধরেন নায়করা| এবার তাহলে বুঝতেপারলেন তো বোল্ড সিন তৈরি করার জন্য এই রকম সিক্যোয়েন্সের কেন প্রয়োজন হয়। এবার থেকে তাহলে কোনও মেয়ের চুলে হাত দেওয়ার সময় অবশ্যই ভেবেচিন্তে হাত দেবেন| এই প্রসঙ্গে কিন্তু আরও একটি কথা বলা দরকার| মানুষ নিজেদের অজান্তেই অনেক নিয়ম মেনে থাকেন| সেগুলোকে কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিলেও বাস্তব কিন্তু সেটাকে ভুল প্রমাণ করে দিল|