
Hilsa Fish Oil: ভরা বর্ষায় ইলিশের দাম অনেকটাই নাগালে চলে এসেছে। তাই তো ছুটির দিনে চিকেন-মাটন চলে গিয়েছে বাদের খাতায়। মাংসের পরিবর্তে রান্নাঘর আলোকিত করছে রুপোলি শস্য। আর তারপর তেল, মশলা সহযোগে রেঁধে চলছে কব্জি ঢুবিয়ে খাওয়াদাওয়া। এটাই তো বঙ্গজীবনের বর্ষাযাপন। এদিকে অনেকেই আবার ইলিশ মাছের পাশাপাশি এর তেলের সুবাস ও স্বাদেও মজে থাকেন। কারণ এই পদ যে খেতে বড় খাসা! তাই তো ভাতের পাতে ইলিশের তেল থাকলে গোমড়া থেকে হোমড়াচোমড়া, সকলের মুখেই তৃপ্তির হাসি ফোটে। কিন্তু মুশকিল হল, ইলিশের মতো একটি উপকারী মাছের তেল নিয়ে তেমন বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা হয় না বললেই চলে। তাই তাই তো স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে প্রশ্ন রয়ে যায় যে, ইলিশ মাছের তেল খাওয়া কি আদৌ উচিত?
চিকিৎসকদের মতে, খেতে বসে অনেকেই প্রথম পাতে ইলিশের তেল আর ডিম খেতে পছন্দ করেন। তবে এতে কি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে? এ বিষয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এমনকী, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই মাছ। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ইলিশের তেলে নানা ধরনের গুণের মধ্যেও কিছু অপকারিতা রয়েছে। কারণ এই তেল বেশি পরিমাণে খেলে যাদের কিডনি অথবা হার্টের অসুখ রয়েছে তাদের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সবসময় পরিমাণ বুঝে এই মাছ খাওয়া উচিত।
চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ইলিশের তেলে রয়েছে হাই ফ্যাট। আর এই ফ্যাট হার্ট ও ব্রেনের জন্য অবশ্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় এই বিষয়টাও ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ ও ক্যানসার প্রতিরোধেও ইলিশের তেলের জুড়ি মেলা ভার। তাই ইলিশের তেল নিয়ে মনের সব সংশয় দূর করে দিন।কিন্তু পরিমাণ বুঝে খান।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।