Hilsa Fish Recipe: বর্ষার দুপুরে রোজই পাতে ইলিশ মাছ, মধ্যবিত্তের ঘরে একেবারে স্বপ্নের মতো। তবে ইলিশের পুষ্টিগুণ জানলে আপনিও হয়তো রোজই পাতে রাখবেন। ইলিশ মাছ ভাজা তেল থেকে শুরু করে ইলিশের ঝোল, সবই খেতে চাইবে না আপনিও।

Hilsa Fish Recipe: বর্ষার মন খারাপ ইলিশ পাতে পড়লেই যেন ভাল হয়ে যায়। গরম ভাতে ইলিশ ভাপা হোক বা ইলিশের ঝোল - কোনটি ছেড়ে কোনটি খাই! কিন্তু জানেন কি ইলিশ মাছ শুধু স্বাদেই ভরপুর নয়, এতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণও।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইলশের আদৌ কোনো উপকারিতা আছে কিনা। কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে ইলিশ?

১। হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

দুপুরে প্রথম পাতে একটা ইলিশ মাছ ভাজা আর তার তেল, জমে ক্ষীর দুপুরের খাওয়া। কিন্তু জানেন এই ইলিশ মাছ ভাজার তেল আপনার হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।এছাড়াও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে শরীরকে ফিট রাখে। আসলে ইলিশ মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

২। চোখের সুস্বাস্থ্যে

ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে ইলিশ মাছের গুণ রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৩। বাতের ব্যাথা থেকে মুক্তি

ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফাটি অ্যাসিড আছে, যা বাতের ব্যাথা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। আর্থ্রাইটিস বা আসলে শরীরে ওমেগা ৩ এসিডের ঘাটতি হলে বাতে ব্যথা হতে পারে। আর্থ্রাইটিস বা শরীরে জয়েন্টে প্রদাহ কমাতে পারে ইলিশ মাছ।

৪। হাঁপানির ঝুমকি কমায়

যে কোনও সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। তাই ইলিশ মাছও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে। বিশেষ করে শিশুদের অ্যাজমা বা হাঁপানির রোগে ইলিশ মাছ উপকারী।

৫। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় ইলিশ মাছ

ইলিশ মাছে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, উজ্জ্বল করে তোলে। এতে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের বলিরেখা ও ফাইন লাইন প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। তাই বর্ষায় মোটামুটি রোজ ইলিশ মাছ খেলে আপনার ত্বক মসৃণ ও সতেজ হয়ে উঠবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।