
ফাস্ট ফুড খেতে কে না ভালবাসি আমরা। তবে যদি এটা বাড়িতে বানানো হয় তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। মন প্রাণ দিয়ে খাওয়াই যেতে পারে। মোঘলাই জিনিষটা এমনই যেটা সবার মোটামুটি ভালো খাবারের মধ্যে পরে। আর জলখাবারের মধ্যে কখনো সখনো আমরা এই ধরনের স্টাফিং পরোটা বা মোগলাই ধরনের বানিয়ে থাকি।
মোঘলাই পরোটা কিন্তু বাঙালির সাধারণত ডিম বা মাংসের পুরের কথা মনে পড়ে যাবে।কিন্তু পুরোপুরি নিরামিষ আলু, পনির এবং মটরশুঁটির পুর ভরা গরম মোঘলাই পরোটা প্রতিটি কামড়েই অসাধারণ স্বাদের অভিজ্ঞতা দেয়। আর নরম এবং মুচমুচে টেক্সচার এটি খেতে আরও মজাদার করে তোলে। এটি দই, সবুজ চাটনি অথবা নিজের পছন্দের আচারের সঙ্গে পরিবেশন করা যেতে পারে।
উপকরণ: গমের আটা, ঘি বা সাদা তেল, আর স্টাফিংয়ের জন্য পনির বা করাইশুটির বা আলুর পুর দিতে পারেন।
প্রণালী: একটি বড় পাত্রে গমের আটা, তেল এবং লবণ ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে জল যোগ করে নরম ডো মেখে নিতে হবে। একটি ভেজা কাপড় দিয়ে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে, যাতে ডো জমে যায় এবং সহজেই লেচি গড়ে নেওয়া যায়! ডো সমান অংশে কেটে নিতে হবে। প্রতিটি লেচি একটি গোলাকার বা ডিম্বাকার আকার দিতে হবে। পরোটার ঘনত্ব এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে স্টাফিং সহজেই ভেতরে রাখা যায় এবং ভাজা হলে পরোটা ছিঁড়ে না যায়। তৈরি স্টাফিংটি রোল করা পরোটার উপর সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এর উপরে আরেকটি রোল করা পরোটা রাখতে হবে। প্রান্তগুলি ভাল করে চেপে বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে স্টাফিং পরোটার ভেতরে থাকে এবং রান্না করার সময় বাইরে বের না হয়।
স্টাফ করা পরোটা আলতো করে বেলতে হবে, খুব বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। এতে পরোটা সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্টাফিং ভেতরে থাকে। এই পদ্ধতিতে, পরোটা কেবল নরম এবং সুস্বাদুই হবে না, বরং ভাজা হলে কিছুটা মুচমুচেও হবে। মাঝারি আঁচে তাওয়া বা প্যান গরম করতে হবে। এতে সামান্য তেল বা ঘি মাখিয়ে পরোটা রাখতে হবে এবং উভয় পাশ সোনালি বাদামি এবং মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। ভাজার সময় উপরে সামান্য ঘি বা তেল দেওয়া যেতে পারে, যাতে পরোটার নরম ভাব এবং স্বাদ উভয়ই বজায় থাকে।