
Cortisol Cocktail for weight loss: বর্তমানে দৌড়ঝাঁপের জীবনে মানসিক চাপ, হরমোনের ওঠা-নামা ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত নানা রকম শারীরিক সমস্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে এসেছে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় - কর্টিসল ককটেল। অ্যালকোহল মেশানো পানীয় ভাবছেন? একেবারেই নয়। বরং ভীষণ স্বাস্থ্যকর, এমনটাই দাবি অনেক চিকিৎসকের।
কর্টিসল ককটেল আসলে এক ধরনের প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক, যা কিছু প্রাকৃতিক উপকরণ মিশিয়ে তৈরি হয়। এতে থাকে-
কর্টিসল হরমোন ওজন কমাতে পারে কিনা সে বিষয়ে বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের ভিন্ন মত। লেবু, ডাবের জল ও সৈন্ধব লবণ একসঙ্গে বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কমে। তাছাড়া এই কলটেল অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বার বার বা অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। ‘সুগার ক্রেভিং’ কম করে। এমনকী, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। মন ও শরীর চাঙ্গা থাকে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার প্রবণতা কমে। তাই সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে এই পানীয় ওজন কমাতে সহায়ক।
আমাদের কোনও কারণে মানসিক চাপ বেড়ে গেলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়। আর কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া মানেই ধীরে ধীরে পেটের আশেপাশের অংশে মেদ জমতে থাকা। হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, রক্তচাপও বেড়ে যাওয়া। শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়া। কর্টিসল ককটেল নিয়মিত পান করলে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে বলেই ধারণা অনেক পুষ্টিবিদের। পটাশিয়াম, ইলেকট্রোলাইট, খনিজ ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ এই পানীয় মনের ক্লান্তি দূর করতে পারে, স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফলে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও কম হয়। শরীরে গ্লুকোজ়ের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
কর্টিসল ককটেল সব সময় সবার জন্য উপযুক্ত নয়। এই পানীয় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, কারও রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হলে বা যেসব ডায়াবেটিকরা নিয়মিত ইনসুলিন নেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পানীয়টি গ্রহণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি। ক্রনিক কোনও রোগ, যেমন কিডনি বা হার্টের অসুখ থাকলে, রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলে কর্টিসল ককটেল না খাওয়াই ভালো।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।