ঘি দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি: এই নিবন্ধে শুদ্ধ ঘি তৈরির পদ্ধতি এবং তিন মাস পর্যন্ত নষ্ট না করে সংরক্ষণের উপায় জানুন। গ্রামে ব্যবহৃত পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘরে ঘি তৈরি করুন এবং দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণ করুন।
শ্রাবণ মাস মানেই একের পর এক উৎসব। উৎসব মানেই মিষ্টি তৈরি করতেই হবে। বাজারে ১ কেজি শুদ্ধ ঘি-এর দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। তাও ডিব্বা খোলার তিন সপ্তাহের মধ্যেই ঘি-এর স্বাদ নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে।
28
গ্রামীণ পদ্ধতি
আজ দেখে নেব ঘরে কিভাবে শুদ্ধ ঘি তৈরি করবেন এবং দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত নষ্ট না করে সংরক্ষণ করবেন। আজও গ্রামে এইভাবেই ঘি সংরক্ষণ করা হয়। শহরে যারা থাকেন তারাও বাড়িতে আনা দুধ দিয়ে ঘি তৈরি করতে পারেন।
38
শুদ্ধ ঘি তৈরির পদ্ধতি
বাড়িতে আনা দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধ ঠান্ডা হলে মালাই তুলে একটি পাত্রে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। মালাই সম্পূর্ণরূপে জমিয়ে রাখতে হবে। নাহলে পচা গন্ধ বের হবে। এইভাবেই দুধের মালাই জমিয়ে রাখতে হবে।
মালাই-এর পরিমাণ ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম হলে ঘি তৈরি করতে হবে। জমানো মালাই একটি চওড়া পাত্রে ঢেলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিন। এবার অল্প অল্প করে মালাই নিয়ে মিক্সারে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্লেন্ড করুন। শুধুমাত্র বরফ-জল মেশাতে হবে।
58
মোটা তলার পাত্র ব্যবহার করুন
এরপর জল আলাদা হয়ে মালাই মাখন হয়ে যাবে। মাখন ছোট ছোট লেচি করে নিন। এবার চুলায় মোটা তলার পাত্র বসিয়ে মাখন দিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। মাখন গলে তেলের মতো হলে এক চিমটি হলুদ, ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো, এক চিমটি নুন মেশান।
68
কৌটোর ঢাকনা কখন লাগাবেন?
ঘি ফুটতে থাকলে একটি তেজপাতা দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার স্টিলের ডিব্বায় ঘি ছেঁকে নিন। ঘি সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে কৌটোর ঢাকনা লাগান।
ঘি অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল বা কাঁচের ডিব্বায় সংরক্ষণ করতে হবে। এতে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। ঘি গরম করার সময় কেউ কেউ তুলসী পাতা বা সজনে পাতা দেন। ইচ্ছা করলে এড়িয়ে যেতে পারেন।
78
সংরক্ষণ পদ্ধতি?
ঘি অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল বা কাঁচের কৌটোয় সংরক্ষণ করতে হবে।
ঘি-এর ডিব্বায় গুড়ের টুকরো রাখেন। এতে ঘি জমাট বাঁধে না বলে মনে করা হয়।
ঘি গরম করার সময় দুটি লবঙ্গ, দুটি গোলমরিচ গুঁড়ো করে মেশাতে পারেন।
88
সংরক্ষণ পদ্ধতি?
যতটুকু ঘি প্রয়োজন ততটুকু আলাদা করে গরম করুন। বারবার সমস্ত ঘি গরম করা উচিত নয়।
ঘি রাখা কৌটো শুকনো জায়গায় রাখতে হবে।
ঘি তোলার জন্য প্রতিবার শুকনো চামচ ব্যবহার করতে হবে।
একবার গরম করা ঘি-তে যেন জল না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।