আয়কর রিটার্ন দাখিল করা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা যে কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আপনার কাছে একটি স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর বা প্যান নম্বর থাকা দরকার। এর আগে অবধি আপনার প্যান কার্ড বানানোর জন্য বা ফর্ম পূরণ করতে হত এবং ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। আর এই প্যান কার্ডটি বানাতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। তবে এখন আর প্যান কার্ডের জন্য অপেক্ষা নয়। আপনি এখন আয়কর বিভাগ থেকে চটজলদি ই-প্যান পেতে পারেন। ই-প্যান হ'ল ডিজিটালি স্বাক্ষরিত প্যান কার্ড যা আই-টি বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত। ই-প্যান পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর একটি বৈধ আধার নম্বর বা ডিজিটাল স্বাক্ষর থাকা আবশ্যিক।
আরও পড়ুন- ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা-সহ লঞ্চ করছে রেডমি নোট ৮
এই জন্য আবেদনকারীকে ডাব্লুউ ডাব্লুউ ডাব্লুউ ডট প্যান ডট ইউটিআইআইটিএসএল ডট কম স্ল্যাস প্যান (বড় অক্ষরের) স্ল্যাস নিউ এ (বড় অক্ষরের) ডট ডিও -এই সাইটে গিয়ে ই-প্যানের জন্য আবেদন করতে হবে। “নতুন প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে (ফর্ম ৪৯ এ) ক্লিক করুন। এর পরে ই-প্যান পেতে "ডিজিটাল মোড" সিলেক্ট করে, আবেদনকারীদের যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার দরকার নেই এবং আধার-ভিত্তিক ই-সিগনেচার বা ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করতে হবে। আপনার মোবাইল নম্বরটি দিয়ে আপনার আধার আপডেট হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। ই-কেওয়াইসি পরিচালনার জন্য আধারের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরটিতে একটি ওটিপি আসবে। ওটিপি দিয়ে নির্ধারিত ফর্ম্যাটে একটি সাম্প্রতিক ছবি আপলোড করতে হবে।
আরও পড়ুন- চলতি মাসেই আটটি পলিসি বন্ধ করতে চলেছে এলআইসি , আপনারটি সেই তালিকায় নেই তো
আরও পড়ুন- আরও সস্তা হচ্ছে টিভি দেখা, একধাক্কায় দাম কমছে ৩০ টি চ্যানেলের
আপনার প্যানটি অনলাইনে আনার ক্ষেত্রে আধার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আপনার আধার বিবরণ সঠিক কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। কারণ কোনও ডেটা না মিললে ই-প্যান পাওয়া সম্ভব হবে না। আবেদন করার সময়, আবেদনকারীকে একটি হার্ড কপি প্যান কার্ড এবং একটি ই-প্যান বা কেবল একটি ইপিএন নির্বাচন করার বিকল্প বেছে নিতে হবে। আপনার যদি ই-প্যানের সঙ্গে প্যান কার্ডের প্রয়োজন হয় তবে আপনাকে দিতে হবে ১০৭ টাকা। আর যদি আপনি কেবল ই-প্যান নিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে দিতে হবে ৬৬ টাকা।