Bhoot Chaturdashi: আজ ভূত চতুর্দশী, তেনাদের দিন, সন্ধে নামার আগে এই ৭ ভূতের গল্প জেনে রাখুন

বালিশ জড়িয়ে, ঘর অন্ধকার করে ভূতের ছবি দেখার কিন্তু একটা মজা আছে। হলিউড ছবিতে ভূতের আধিপত্য বেশি বলেই বা কী। বাংলায় ভূত কম আছে নাকি। ছোটবেলায় মায়ের মুখে কিংবা গল্পের বই পড়ে পেত্নী, শাকচুন্নি থেকে আরও অনেক ভূতের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে সকলেরই। আজ ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi) তিথিতে রইল কয়টি ভূতেদের গল্প। সন্ধ্যা নামার আগে বাংলার সাত ভূতের সঙ্গে সাক্ষাত করে নিন।

Sayanita Chakraborty | Published : Nov 3, 2021 8:32 AM IST / Updated: Nov 14 2021, 08:50 PM IST

গরম জলের জন্য সারা বাথরুম (Bathroom) ধোঁয়া হয়ে গিয়েছে। মনের সুখে স্নান করছিল মেয়েটি। হট করে মনে হল কেউ তার হাত ধরে টানল। না সব ভ্রান্ত ধারণা (Misconception)। টাওয়াল গায়ে জড়িয়ে বাথরুমে থাকা আয়নায় মুখ দেখতে গিয়েই চেঁচিয়ে উঠল। এক অদ্ভুত মুখের মেয়ে তার পিছনে। ঘুরে তাকিয়ে দেখে, কই কেউ তো নেই। এর পরই বাথটপ থেকে ভেসে আসছে জলের শব্দ। সামনে যেতেই চিৎকার। না এই চিৎসার ছবিতে নয়। বরং, ঘরে বসে থাকা সদস্যদের একজনের। টিভির বড় এলিডি স্ক্রিন (LED screen) জুড়ে চলছে হলিউড (Hollywood) ছবি। মাঝ রাতে ভূতের ছবির মজা নিতে গিয়ে সকলেই ভয় পেয়ে গিয়েছে। তবে, বালিশ জড়িয়ে, ঘর অন্ধকার করে ভূতের ছবি দেখার কিন্তু একটা মজা আছে। হলিউড ছবিতে ভূতের আধিপত্য বেশি বলেই বা কী। বাংলায় ভূত কম আছে নাকি। ছোটবেলায় মায়ের মুখে কিংবা গল্পের বই পড়ে পেত্নী, শাকচুন্নি থেকে আরও অনেক ভূতের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে সকলেরই। একটা সময় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi) নিয়েও বহু ভূতের গল্পের প্রচলন ছিল। মা কালীর পাশে থাকা ডাকিনী-যোগিনী দেখিয়ে বলা হত সেই গল্প। আজ ভূত চতুর্দশী তিথিতে রইল কয়টি ভূতেদের গল্প। সন্ধ্যা নামার আগে বাংলার সাত ভূতের সঙ্গে সাক্ষাত করে নিন। 

আরও পড়ুন: Diwali 2021: দীপাবলির আগের দিন পালিত হয় নরক চতুর্দশী বা ছোটি দিওয়ালি, জেনে নিন এই পুজোর মাহাত্ম্য

পেত্নী- মজার ছলে অনেকে বান্ধবীদের পেত্নী বলে সম্বোধন করেন। জানেন কী এই পেত্নী আসলে কে? অতৃপ্ত আশা নিয়ে যে সকল মেয়েরা মারা যায় তারাই পেত্নী হয়। অবিবাহিত নারী ভূত হল পেত্নী। এদের থেকে সাবধান। এরা খুবই বদমেজাজী হয়। এদের খপ্পরে একবার পড়লে রক্ষা পাওয়া বেশ কঠিন। 

শাকচুন্নি- নাকি সুরে কথা বলা, শীর্ণকায় চেহারা, পরনে সাদা শাড়ি এদিকে হাতে শাঁখা-পলা পরা ভূতের সঙ্গে নিশ্চয়ই সাক্ষাত হয়েছে কখনও না কখনও। বিবাহিত মহিলারা (Married women) এদের থেকে সাবধান। ইনি বিবাহিত মহিলাদের ওপর ভর করে, তার স্বামী সঙ্গ উপভোগ করতে পছন্দ করে। 

আরও পড়ুন: Gold price today - দিওয়ালির আগে সোনার দামে বড়সড় পতন, জেনে নিন আজকের সোনা-রূপোর দর

মেছোভূত- মেছোভূতের সঙ্গে সাক্ষাত করতে কবর স্থান কিংবা শ্মশানের (crematory) সামনে দিয়ে মাছ নিয়ে যেতে হবে। প্রচলিত আছে মেছোভূত শুধুই মাছ খান। আর যে মাছ (Fish) নিয়ে যায়, তাকে ভয় দেখিয়ে মাছ কেড়ে নেন। 

স্কন্ধকাটা- রেল লাইনের (Rail line) ধারে স্কন্ধকাটাদের বাস। মূলত যারা রেল লাইনে কাটা পড়েন, তারাই স্কন্ধকাটা হয়ে যান। এদের মাথা থাকে না। তাই রাতের অন্ধকারে মাথাহীন ভূত দেখতে চাইলে রেল লাইন ধরে হেঁটে দেখুন। 

ডাইনি- যৌবনের রূপ ধরে রাখতে কে না চান। এর জন্য সেলেবরা কত রকম ট্রিটমেন্ট করেন। আবার ভূত বিশ্বাসী মানুষরা ডাইনি বিদ্যা রপ্ত করেন। প্রচলিত আছে, ছোট বাচ্চাদের (Children) ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের হত্যা করে তাদের রূপ ডাইনি বিদ্যার মাধ্যমে নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে নেন এরা। তবে, এরা কিন্তু জীবিত ভূত।     

ব্রক্ষ্মদৈত্য- বেলগাছে থাকেন ব্রক্ষ্মদৈত্য। ইনি পবিত্র ভূত। ধূতি ও পৈতে পরা ব্রক্ষ্মদৈত্য খুব লম্বা হন। ইনি দয়ালু ও মানুষের উপকার করেন বলে পরিচিত। 

নিশি- নিশির সঙ্গে অধিকাংশেরই পরিচয় হয়েছে মায়ের থেকে শোনা গল্পের মধ্য দিয়ে। নিশি ভূতদের মধ্যে সব থেকে ভয়ংকর । নিশি গভীর রাতে কারও প্রিয় মানুষের কন্ঠে না ধরে ডাকে। কেউ একবার সারা দিলেই তাকে ধরে নিয়ে যায়। নিশির ডাক বেশ ভয়ংকর। তাই বলা হয়, রাতে তিন বার ডাকলে তবেই ঘর থেকে বের হওয়া উচিত। 
 

Share this article
click me!