ভারতীয়দের খাবারের অন্যতম উপকরণ হল ঘি। অনুষ্ঠান বাড়ির খাবার হোক বা গরম ভাতে কয়েক ফোঁটা, ঘি চলে সর্বত্রই। আবার পুজো আচ্ছাতেও ঘি-এর মহিমা অনেক। তবে খাওয়াদাওয়াতেই শুধু নয়। ত্বক ও চুলের জন্যও ঘি বিশেষ উপকারী।
জেনে নেওয়া যাক ত্বক ও চুলের জন্য ঘি কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন-
১) ঘি-তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ই ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভাল ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই ভাল। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে ঘি রক্ষা করে। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকে অনেক সময়ে চুলকুনির সমস্যা হয়। তখন ত্বকে ঘি লাগিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ঘি খেলে কমবে ওজন! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি, জানুন খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
২) ময়েশ্চরাইজার হিসেবেও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। রাতে মুখ পরিষ্কার করার পরে ঘি দিয়ে ২-৩ মিনিট মুখে মাসাজ করুন। ঘুমনোর আগে অতিরিক্ত তেল কটন প্যাড দিয়ে তুলে নিন।
৩) যাঁদের অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটে, তারাও ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে হালকা ঘি লাগিয়ে শুতে যান। ঠোঁট সুন্দর ও কোমল থাকবে।
৪) বাজারে বিভিন্ন রকমের আইক্রিম বিক্রি হয়। রাতে মুখ পরিষ্কার করার পরে আইক্রিম হিসেবে ঘি-ও ব্যবহার করতে পারেন। এতে বলিরেখা ও চোখের তলার কালি অনেকটাই চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ সম্পর্কে রাগ পুষে রাখবেন না, অদূর ভবিষ্যতে বাড়বে জটিলতা
৫) মধু ও ইয়োগআর্ট, ৩ চামচ ওটসের সঙ্গে ঘি মেশান। এই মিশ্রণ ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ত্বকে জেল্লা আসে সহজেই।
৬) হেয়ার ভাইটালাইজার হিসেবেও ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রাই হেয়ারের সমস্যা হলে ঘি-এর জুড়ি মেলা ভার। তাই চুলের ডগায় ভাল করে ঘি মাখতে পারেন। তবে গোড়ায় মাখবেন না।
৭) ঘি দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। ভাল করে সারা মাথায় মাখুন। এবারে একটি গরম তোয়ালে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। অতিরিক্ত ঘি অ্যাবসর্ব করে নেবে এই তোয়ালে। এতে চুলে জেল্লা আসে সহজেই।