৪০ বছর পর নারীদের শরীরে অনেক হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ থাকতে চান, তবে অবশ্যই আপনার ডায়েটে এই কয়েকটি জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন।
নারী দিবসে আসুন জেনে নেওয়া যাক ৪০ বছর বয়সের পর মহিলাদের খাদ্য তালিকায় কী কী জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা তাদের ফিট, উদ্যমী এবং তরুণ রাখবে। কারণ ৪০ বছর পর নারীদের শরীরে অনেক হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। যা তাদের স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে। মুখে বার্ধক্যের চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করে। শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ থাকতে চান, তবে অবশ্যই আপনার ডায়েটে এই কয়েকটি জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন।
আমলকি- আমলকি মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আয়ুর্বেদিক ওষুধে আমলা ব্যবহার করা হয়। একে অনন্ত যৌবনের ফলও বলা হয়। তাই আমলকি খাওয়া আপনার বার্ধক্য বন্ধ করে। আমলা শরীরের তিনটি দোষ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং হাড় সংক্রান্ত রোগ থেকে মুক্তি দেয়। আমলকি খেলে ত্বক, চুল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। আমলা বার্ধক্য প্রতিরোধে বিস্ময়কর কাজ করে।
অশোক- অশোক একটি আয়ুর্বেদিক টনিক যা খুবই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। অশোক মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। এতে নারীর উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। অশোক ৪০ বছর বয়সের পরে মাসিক চক্র নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যে, মেনোপজের সময় হওয়া সমস্যাগুলিও কমানো যায়।
মটর- মটর মহিলাদের জন্য একটি সুপার ফুড হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এটি প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। নিরামিষাশী মহিলাদের তাদের খাদ্যতালিকায় মটর যোগ করা উচিত। মটর খেলে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এই সমস্ত অবস্থা হৃদরোগের কারণ।
ফল- মহিলাদের খাদ্যতালিকায় পেঁপে, আঙ্গুর, ব্ল্যাকবেরি এবং চেরি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আঙ্গুর মহিলাদের নির্দিষ্ট ধরণের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদরোগের উন্নতি করে। বেরি এবং চেরিতে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। বেরি আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার মনকে তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এটিও ত্বককে রাখে তরুণ। পেঁপে ডিম্বাশয় ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পেঁপে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।