
Healthy Living: প্রতিদিন আমরা বাইরে বেরোলে বা বাড়ি থেকেই অর্ডার করে হোক না কেন বিভিন্ন রকম জাঙ্ক ফুড বা রোড সাইড ফুড আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই খাবারের গুণগত মান বিচার করি না। যার ফলে আমাদের প্রিয় ফাস্টফুডগুলি বিনা দ্বিধায় আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু তার ফলে আমাদের কী ক্ষতি হচ্ছে সেদিকে আমরা বিন্দুমাত্র নজর দিই না। অনেকে রোজ ভালোবেসে খান এইসব খাবার। তবে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে এই কয়েকটি খাবারের সঙ্গে এখনই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। এর অন্যতম হল আইসক্রিম বা মিষ্টি জাতীয় খাবার।
শিশু থেকে শুরু করে মাঝবয়সি বলুন বা বয়স্করা সকলেই আইসক্রিম বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে কম পছন্দ করেন না। তবে চুপি চুপি ত্বকের বারোটা বাজাচ্ছে এই সুইট ট্রিট। আইসক্রিমে চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ভরে ভরে। আর ফ্যাটের সঙ্গে চিনি মিশলে গ্লাইকেশন প্রক্রিয়ার গতি বেড়ে যায়। এই কারণে ত্বকের কোলাজেন নামক প্রোটিন দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে চামড়া ঝুলে যায়, বলিরেখা দেখা যায় এবং আর্দ্রতা হারায় ত্বক। মাঝেমধ্যে আইসক্রিমের একটা স্কুুপ খেতেই পারেন। তবে তা যদি রোজ খেতে শুরু করেন তাহলেই বিপত্তি। এছাড়া বাচ্চারাই হোক বা বড়রা, সব বয়সের মানুষই সোডা ও মিষ্টি পানীয় খেতে ভালোই বাসেন। অতিরিক্ত চিনি এবং ফসফরিক অ্যাসিড থাকে সোডাতে। এগুলি দাঁত ও হাড়ের থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয় ক্ষতি করে। এর সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর কারণে ত্বকের প্রদাহ বাড়ে। ফলে ত্বকের বার্ধক্য এগিয়ে আসে। এবার বলি ফলের রস নিয়ে। ফলের রস আমাদের কাছে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও প্যাকেটজাত ফলের রসে চিনি থাকে ভরে ভরে। এদিকে এতে ফাইবারও থাকে না যা পুরো ফলেই থাকে। বিষয়টা হল, ফাইবার না থাকলে শরীর দ্রুত শর্করার শোষণ করে নেয়। যে কারণে ব্লাড সুগার বাড়ে এবং প্রদাহ তৈরি হয়। ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ঝুলে যায়। তাই ফলের রস খাওয়ার বদলে তাজা ফল কিনে খাওয়া ভালো।
বাজারে মাখনের কম ক্যালরি বিকল্প হিসেবে মার্জারিন পাওয়া যায়। তবে প্রচুর মার্জারিনে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। ত্বক ও হার্টের জন্য এই ট্রান্স ফ্যাট মোটেও ভালো নয়। রক্তানালীকে দৃঢ় করে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ত্বককে শুষ্ক করে তোলে মার্জারিন। ডায়েটে ট্রান্স ফ্যাট থাকলে রিঙ্কেলস দেখা যায় দ্রুত। সেখানে মাখন এর থেকে কম ক্ষতিকর। আমরা বেশি ক্যালরি ইনটেক করব না বলে চিনি এড়াতে অনেকে আর্টিফিশিয়াল সুইটনারের উপর ভরসা করি। এগুলি পেটের স্বাস্থ্য ও মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘমেয়াদে এর ফলে বুড়িয়ে যাওয়ারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। তবে মধু, স্টেভিয়া সঠিক পরিমাণে কিন্তু খাওয়া যেতে পারে। এবার আসা যাক মাফিনে। মাফিন খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে এতে ময়দা, চিনি ও ভেজিটেবল অয়েল রয়েছে। এই ট্রায়ো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা চট করে বাড়িয়ে দেয়। এনার্জিও দ্রুত ক্র্যাশ করে যায়। পরে এর কারণে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। নষ্ট হয় কোলাজেন। ফলে বুড়িয়ে যায় ত্বক। সেক্ষেত্রে বাড়িতে ওটস ও বাদাম দিয়ে তৈরি কোনও কুকিজ খাওয়া যেতে পারে। অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে।ভিটামিন এ-র মাত্রা কমায় এবং লিভারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে ত্বক শুষ্ক, ক্লান্ত দেখায়। অকালে বুড়িয়ে যায় ত্বক। তাই মদ্যপানও কমাতে হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।