Eye Care: চোখ চুলকানোর এই অভ্যাসই কর্নিয়াকে এমন ভাবে বিকৃত করতে পারে, যা পরে আর ঠিক না-ও হতে পারে। আসলে অনেকেই জানেন না, জোরে জোরে চোখ কচলালে কী ঘটতে পারে।
Rubbing Eyes: যখন তখন চোখ চুলকানোর অভ্যাস বড় বিপদের কারণ হতে পারে। কারণ এতে কর্নিয়ার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, যা পরবর্তীতে ঠিক নাও হতে পারে। ঘন ঘন চোখ চুলকানো থেকে চোখের কর্নিয়া বিকৃত হতে পারে এবং এর ফলে দৃষ্টিশক্তির ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এর পেছনে ধুলোবালি, স্ক্রিনের অতিরিক্ত ব্যবহার বা অ্যালার্জির মতো কারণ থাকতে পারে।
চোখ চুলকানোর কারণ কী?
পরিবেশগত কারণ: ধুলো, ধোঁয়া এবং স্ক্রিনের অতিরিক্ত আলো।
অ্যালার্জি: অ্যালার্জির কারণে চোখে চুলকানি হতে পারে।
শুষ্ক চোখের সিন্ড্রোম: চোখের শুষ্কতার কারণেও চুলকানি হতে পারে।
সংক্রমণ: ব্লেফারাইটিস (চোখের পাতার প্রদাহ) বা কনজেক্টিভাইটিস (চোখ ওঠা) এর মতো সংক্রমণের কারণে চোখ চুলকাতে পারে।
কন্টাক্ট লেন্স: কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের কারণেও সংক্রমণ হতে পারে।
চোখ চুলকালে কী হয়?
কর্নিয়ার বিকৃতি: জোরে চোখ ঘষলে কর্নিয়ার আকৃতি পরিবর্তন হতে পারে, যা স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কর্নিয়াল আলসার: চোখের সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে কর্নিয়ার আলসার হতে পারে।
দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি: দীর্ঘস্থায়ীভাবে চোখ চুলকানোর ফলে দৃষ্টিশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কী কী করণীয়?
হাত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন: যখনই চোখে চুলকানি অনুভূত হবে, তখন হাত দিয়ে ঘষার পরিবর্তে একটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করে হালকাভাবে আলতো করে মুছে নিন।
চোখের আরাম: দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ বা মোবাইল ব্যবহার করার সময় “২০-২০-২০” নিয়ম অনুসরণ করুন। প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোনও কিছুর দিকে তাকান।
চোখ ধুয়ে নিন: ধুলোবালির কারণে চোখ চুলকালে, পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য লক্ষণ যেমন চোখে ব্যথা, লাল হওয়া, বা দৃষ্টিতে ঝাপসা ভাব দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।