রোগীকে কখন ওষুধ খেতে হবে এবং কতক্ষণ পর খেতে হবে তা জানাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খাওয়া উচিত নয় বলে মনে করা হয়, কারণ খাবার খেলে শরীর গরম হয়ে যায়।
অ্যালোপ্যাথি ওষুধ অল্প সময়ে যে কোনও রোগ সারাতে পারে। ডাক্তাররা ওষুধও লিখে দেন যেটা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনি সুস্থ হয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ খাওয়ার পদ্ধতি আমাদের পুনরুদ্ধারের পুরো প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোগীকে কখন ওষুধ খেতে হবে এবং কতক্ষণ পর খেতে হবে তা জানাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খাওয়া উচিত নয় বলে মনে করা হয়, কারণ খাবার খেলে শরীর গরম হয়ে যায়।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়-
যদি কোনও ব্যক্তি খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খান তাহলে তার রক্ত সঞ্চালন বহুগুণ বেড়ে যায়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে, এর উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। ওষুধ ও খাবার একসঙ্গে খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয় না কারণ খাবার খাওয়ার পর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় ওষুধ খাওয়ার মতো শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং বমিও হতে পারে। তবে, অনেক কিছু নির্ভর করে যে ধরনের ওষুধ গ্রহণ করা হবে এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী হবে।
সারা পৃথিবীতে মানুষ অনেক ধরনের ওষুধ খায়। কিছু লোক জ্বর এবং হালকা মাথাব্যথার ক্ষেত্রে প্রতিদিন ওষুধ খান। তবে, মেডিকেল স্টোরগুলিতে অনেক ধরণের ওষুধ পাওয়া যায়। ব্যথা উপশমকারী থেকে অ্যান্টিবায়োটিক পর্যন্ত অনেক ওষুধ রয়েছে এবং সমস্ত ওষুধই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করে। যেকোনও ওষুধ খাওয়ার আগে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার যদি বলে থাকেন খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খেতে হবে, তাহলে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু পরক্ষণেই খাওয়ার এমন কোনও পরামর্শ তিনি দেননি, তাই খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
আরও পডুন- এই ৫ আয়ুর্বেদিক ভেষজ শরীরের রক্ষা কবজের মতো কাজ করে, আপনার থেকে দূরে রাখবে রোগ
আরও পড়ুন- পিরিয়ডের সময় গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেন হয়, অনেকের আবার লুজ মোশনও শুরু হয়
আরও পড়ুন- কালো চায়ের উপকারিতা তো অনেক শুনেছেন, এবার জেনে নিন অসুবিধাগুলোও, অভ্যাস ত্যাগ করুন নয়তো ক্ষতি হবেই
আপনি যদি গর্ভনিরোধকের মতো ভারী ওষুধ খান, তবে আপনার খাওয়ার ২ ঘন্টা পরেই খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির মতো ভারী ওষুধ খান, তাহলে খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরই ওষুধ খাওয়া উচিত। ওষুধগুলি সুরক্ষা এবং সতর্কতার সঙ্গে খাওয়া উচিত বলে মনে করা হয়।